টেলি সামাদ ছিলেন চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র

কৌতুক অভিনয়কে ভালোবেসে শুরু করে ছিলেন অভিনয় জীবন । দেশের জনপ্রিয় বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা নেয়া টেলি সামাদ চাইলেই অন্য
যে কোনো কিছুতে ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন। কিন্তু কৌতুক অভিনয়কে বুকে লালন করে নেমে পড়েছিলেন অভিনয়ের আঙিনায়ই।

বড়ভাই আব্দুল হাই ছিলেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। সেই সূত্রে ছোটবেলা থেকেই শিল্পকলার প্রতি আগ্রহ ছিল তার। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে তিনিও পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। ছবি আঁকতে জানতেন, গান করতে জানতেন, অভিনয়টাও পারতেন। কিন্তু একসময় সব অঙ্গন ছাড়িয়ে কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই বিখ্যাত হয়ে গেলেন আব্দুস সামাদ। দর্শকদের কাছে যিনি ‘টেলি সামাদ’ নামে তুমুল জনপ্রিয়।

নানা মাধ্যমে অভিনয় করলেও চলচ্চিত্রের টেলি সামাদকেই মানুষ চিনেছে, ভালোবেসেছে। নানা রকম সিনেমায় চার-চারটি দশক তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন অভিনয়ে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তিনি একজন হাসির ফেরিওয়ালা হয়ে হাসি বিলিয়েছেন মানুষের মনে-অন্তরে।

সবাইকে কাঁদিয়ে আজ তিনি চলে গেলেন পড়পাড়ে । চলছে তার শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি। টেলি সামাদের মেয়ে সোহেলি সামাদ কাকলী নিশ্চিত করেছেন, শনিবার, ৬ এপ্রিল বাদ মাগরিব রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজার নামাজ। তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে মগবাজারে। এরপর মরদেহ রাখা হবে হিমঘরে।
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান নিশ্চিত করেছেন, রোববার সকালে টেলি সামাদকে শেষবারের মতো নেয়া হবে এফডিসিতে। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে তার তৃতীয় জানাজা।
তিনি বলেন, ‘টেলি সামাদ ভাই চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার বিদায় আমাকে, আমাদের চলচ্চিত্র পরিবার সবাইকে শোকে আচ্ছন্ন করেছে। আমরা তাকে শেষবারের মতো এফডিসিতে নিতে চাই। তার জানাজায় তার জন্য দোয় করতে চাই। আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’

জানা গেছে, এফিডিসিতে তৃতীয় জানাজা শেষে টেলি সামাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার নওগাঁয়। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় যাবেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা টেলি সামাদ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর