‘খালেদা জিয়ার অনুমতি ছাড়া কেবিনে যাওয়া যায় না’

চিকিৎসকরা সব সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজখবর রাখতে পারেন না। কারণ তিনি কেবিনে প্রবেশের অনুমতি না দিলে তারা সেখানে যেতে পারেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক এ কে মাহবুবুল হক। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বিএসএমএমইউ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তার অনুমতি না মেলায় কেবিনের বাইরে থেকে ফিরে যেতে হয় চিকিৎসকদের। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন, বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

গত শুক্রবার বিকেলে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তার স্বজনরা।

ফিরে আসার পর সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের মেজ বোন বেগম সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে চাইছি। জামিন পেলে তাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিতে চাই। এখানে তার চিকিৎসা হচ্ছে না।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার স্বজনরা বিএসএমএমইউ হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক তারা খালেদা জিয়ার পাশে থাকেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাকিস্তানের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পেলেও কারাগারে অসুস্থ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।

চেয়ারপাসনের মুক্তির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি, তিনি জামিন পেলে তার পছন্দমতো তিনি যেখানে ইচ্ছা সেখানে চিকিৎসা করাবেন। এটা তার অধিকার। পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফের সাজা হলেও তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ, সে কারণে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে। কতগুলো বিষয় আছে, যা মানবিক। এটা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

বিএনপি চেয়ারপাসনের যে অসুখ যদি যথাযথ চিকিৎসা না হয়, তাহলে এটা আরও খারাপের দিকে যাবে। ওখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না- এই কথাটা আমরা বহুবার বলেছি। সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছি। কোনো কাজ হচ্ছে না। মূলত সরকারের ইচ্ছাটাই এখানে বেশি কাজ করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে বলেছি, যারা দায়িত্বে আছেন তাদের বলেছি। তার যাতে চিকিৎসা না হয়, তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান, এটাই সরকারের কাম্য। আমার কাছে বারবার এটাই মনে হয়েছে। কারণ যে মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য, সে মামলাগুলোয় তিনি জামিন পাচ্ছেন না। বিভিন্ন কারসাজি করে তার জামিন আটকে দেয়া হচ্ছে। লক্ষ্যটাই হচ্ছে- উনি যেন কারাগার থেকে বের হতে না পারেন।’

গত এপ্রিল মাস থেকে এখানে চিকিৎসাধীন আছেন কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন। দুদকের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসাধীন। কিন্তু স্বজনদের মতো বিএনপির নেতৃবৃন্দও খালেদা জিয়ার এই চিকিৎসায় সন্তুষ্ট নন।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর