এসিবি বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন রশিদ-নবী!

হঠাৎ করেই আসগর আফগানকে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় আফগান বোর্ড (এসিবি)।আসগরকে সরিয়ে আফগান ক্রিকেট বোর্ড তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে।

বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে অধিনায়ক পরিবর্তন করায় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের উপর ক্ষেপেছেন দলের দুই সিনিয়র খেলোয়াড় রাশিদ খান ও মোহাম্মদ নবি। তাদের মতে, এটা বোর্ডের হটকারী সিদ্ধান্ত। বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক পরিবর্তন করায় বাজে প্রভাব পড়বে দলের পারফরম্যান্সে।

ওয়ানডেতে গুলবাদিন নায়েব, টি-টুয়েন্টিতে রশিদ খান ও টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় রহমত শাহকে। মূলত এটার সঙ্গে একমত হতে পারেননি দুই তারকা।

আইপিএল খেলার জন্য ভারতের আছেন আফগান দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। সেখান থেকেই এই ঘোষণার পর টুইটারে রশিদ বলেন, বিশ্বকাপের আর বেশিদিন বাকি নেই, এমন সময়ে অধিনায়ক পরিবর্তন করাটা হতাশার। বোর্ডের এই হটকারী সিদ্ধান্ত পুরো দলকে প্রভাবিত করবে।

তিনি আরও বলেন, বোর্ডের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি এবং বলছি এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড। আসগরকে তার দায়িত্বে পুনঃবহালের আহ্বান জানাচ্ছি। সে দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রশিদের পথে হেঁটেছেন নবিও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই তারকা টুইটারে বলেন, সামনে বিশ্বকাপ, এমন সময়ে অধিনায়ক পরিবর্তন করা বাজে সিদ্ধান্ত। আসগরের অধীনে আমাদের দল ভালো করছিল, ক্রিকেটে আমরা দ্রুততার সাথে উন্নতি করছি। এমন সময়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আফগানিস্তানের দায়িত্ব পাওয়া নতুন তিন অধিনায়কের মধ্যে শুধু রাশিদ খানই দলকে ৪ ম্যাচে লিড দিয়েছিলেন। বাকি দু’জনই এই প্রথম অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন।

২০১৫ সালে আসগরকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় মোহাম্মদ নবিকে সরিয়ে। তার অধীনে ৩৩টি ওয়ানডে ও ৫৯ ম্যাচের মধ্যে ৩৭টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে আফগানরা।

এছাড়া আসগরের সময়ই আইসিসি পূর্ণ সদস্যপদ পায় আফগানিস্তান। তার অধীনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদও পায়। ২০১৮তে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব টপকে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতাও অর্জন হয় আসগরের অধীনে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর