জাককানইবি তে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

আজ বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠসন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কর্মসূচী। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শিক্ষক সমিতি ডীন, কর্মকর্তা পরিষদ, হল এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক
অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মাননীয় উপাচার্য-এর নেতৃত্বে র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে বিশালাকৃতির কেট কাটেন মাননীয় প্রধান অতিথি ও সভাপতি। এসময় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের কোমলমতি শিশুরাও উপস্থিত ছিল। পরে সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত), মহিলা আসন- ১৭ জনাব হাবিবা রহমান খান। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানে একটি পতাকা, একটি দেশ এবং একটি মানচিত্র। বঙ্গবন্ধু এই দেশের মানুষের জন্য বারবার কারাবরণ করেছেন। হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে
যেতেও তিনি ভয় পান নি। তিনি পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন বাঙালিরা বারবার মরে না, একবার মরে। তোমরা শুধু আমার লাশটি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিও।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান অতিথি আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাঙালি জীবনের গর্বের, প্রাপ্তির এবং আশীর্বাদের দিন আজ। বঙ্গবন্ধু শুধু এদেশের নেতা হিসেবেই নয়, তিনি পৃথিবীর নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি সকল অন্ধকার দূর করতে আলোকবর্তিকা হিসেবে এসেছিলেন।’
মাননীয় সভাপতি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে আমাদের আর কিছুই করার প্রয়োজন হবে না। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা জনাব শেখ লুৎফর রহমান দুইটি বাক্য অনুসরণ করতে বলেছিলেন। বাক্য দুইটি অনুসরণ করেই শেখ মুজিব জীবনে সফল হয়েছেন। তাই জীবনে সফলকাম হতে আমাদেরও এই দুইটি বাক্যঅনুসরণ করতে হবে।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী- ২০১৯ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেরস ড. সুব্রত কুমার দে এবং কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো.হুমায়ুন কবীর।
আলোচনা সভায় সম্মানিত আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব মো.শফিকুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি ড. সিদ্ধার্থ দে (সিধু)। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র নেতা মো. নজরুল ইসলাম বাবু এবং মো. রাকিবুল হাসান রাকিব। আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ ও
অবদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব নুসরাত শারমিন তানিয়া এবং জনাব মো. আল জাবির।

বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে ত্রিশাল পৌরসভার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পাঠ, চিত্রাঙ্কন, রচনা এবং সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর