‘৯৯৯’-এর বদৌলতে মুক্তি পেল ৬৮ বন্দী

বকেয়া মজুরি চাওয়ায় মালিক ও তার লোকজন ইটভাটার একটি কক্ষে আটকে রেখেছিল নারী-শিশুসহ ৬২ শ্রমিককে। সেখানে দু’দিন অনাহারে দিন কেটেছে তাদের। অবস্থা বেগতিক দেখে এক শ্রমিক ফোনকল করেন জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ। ফোন পেয়েই বুধবার রাতে পুলিশ গিয়ে বন্দিদশা থেকে তাদের উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ফুনকুল এলাকার এবিএফ ব্রিকফিল্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।

উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ৯ শিশু ও ১৪ জন নারীও ছিলেন। শিশুদের বয়স ৮-৯ বছরের মধ্যে। উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার সকালে তাদের সবাইকে গ্রামের বাড়ি শেরপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার আগে স্থানীয় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইয়ানবীর মধ্যস্থতায় মজুরি পরিশোধ করা হয় শ্রমিকদের।

বন্দরের কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হুসাইন বলেন, মুছাপুরের আলী আহম্মেদ আলীম, বারপাড়া গ্রামের মিজান ও দাশেরগাঁও গ্রামের সাহাবুদ্দিন ফুনকুল এলাকায় তাদের এবিএফ নামে ইটভাটা নির্মাণ করেন।
সেখানে কাজের জন্য শেরপুর জেলার সদর থানা এলাকা থেকে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক আনা হয়। কুতুব উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ওই শ্রমিকদের সর্দার। গত ৩ মার্চ থেকে কালবৈশাখী ও বৃষ্টির কারণে ইট তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গত ১ এপ্রিল রাতে ভাটা মালিক আলিম ও মিজানের কাছে মজুরির বকেয়া ৫০ হাজার ৫০০ টাকা চান শ্রমিকরা। এ সময় আলীম ও মিজান উল্টো শ্রমিকদের কাছে চার লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে শাসিয়ে তাদের কোনো টাকা দেবেন না বলে জানান। তখন শ্রমিক সর্দার কুতুব উদ্দিন বকেয়া টাকা থেকে খোরাকি বাবদ কিছু টাকা চান। এতে মিজান ও আলীম ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের মারধর করে ভাটার একটি ঘরে আটকে রাখেন।

তিনি আরও বলেন, সেখানে অনাহারে দুই দিন অবরুদ্ধ থাকার পর এক শ্রমিক জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। খবর পেয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সেখানে গিয়ে নারী-শিশুসহ ৬২ জনকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিক মিজান ও আলীম পালিয়ে যান। পরে ইউপি সদস্য ইয়ানবীর মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর