বিশেষ শিক্ষা নীতি প্রণয়ন

দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অটিজম, সেরিব্রাল পালসি, ডাউন্স সিনড্রোম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তিসহ প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলধারার বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে জেলায় জেলায় সরকারি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে। সেলক্ষে একটি বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

২০০৯ সালে একটি বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা থাকলেও প্রতিবন্ধী শিক্ষা পরিচালনা, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি, শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য কোন নীতিমালা নেই। ফলে নতুন করে একটি নীতিমালা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সরকারি বেসরকারি ছাড়াও ভবিষ্যতে যে সকল প্রতিবন্ধী স্কুল, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করবে তাদের শিক্ষাক্রম কি হবে তা এখনই নির্ধারণ করা জরুরী। সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে নীতিমালাটি চুড়ান্ত করা হয়েছে। যা শিগগিরই অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদা মিন আরা বলেন, দেশে ৫০ প্রতিবন্ধী স্কুল ছিলো যেগুলো সুইডেন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিক হয়ে আসছে। পরবর্তীতে সরকার ১২টি স্কুল এমপিওভূক্ত করা হয়। সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে এই ধরণের স্কুলের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে এবং নিবন্ধন ও এমপিওভূক্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে। আমরা মনে করি এই ক্ষেত্রে কিছু দুষ্ট লোক এই সব করছে। সেই ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনতেই নীতিমালাটি হাল নাগাদ করা হচ্ছে। আমাদের ধারণা তারা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বানিজ্যিক চিন্তা করছেন এবং এর বাস্তবতাও রয়েছে।

উল্লেখ্য দেশে বর্তমানে এমপিওভূক্ত প্রতিবন্ধী স্কুলের সংখ্যা ৬২টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা আট হাজার। তারা শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিমাসে সরকার থেকে সাত’শ টাকা করে ভাতাও পাচ্ছেন। নতুন করে প্রণীতব্য নীতিমালায় প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকদের সরকারি বেতন ভাতাদির অতিরিক্ত মাসিক আরো ১ হাজার ৫’শ টাকা করে প্রণোদনা তথা ইনসেনটিভ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত ১২ প্রকার প্রতিবন্ধী রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সমসুবিধা পাওয়া ও অধিকার প্রদান একটি সাংবিধানিক অধিকার। ইতোমধ্যে প্রনীত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরোডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাষ্ট আইন ২০১৩ ওই আইনের অধীনে দুইটি বিধিমালাও হয়েছে। বাস্তবাকে কিছু সমস্যাও রয়েছে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সকল প্রতিবন্ধী স্কুল এই নীতিমালার আলোকে শিক্ষাক্রম,পাঠ্যসূচি, মূল্যায়ন, পরিদর্শন ও তদারকি করতে হবে। স্কুলে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা, খেলাধুলা, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থী ১’শজন হলে স্বীকৃতি, বেতন ভাতার জন্য আবেদন করা যাবে। তবে দৃষ্টি প্রাতবন্ধী ৭৫ জন হলেই আবেদন করা যাবে। হাওড়,বাঁওড়, চরাঞ্চল, পশ্চতপদ জনপদ, দুর্গম এলাকা এবং পার্বত্য জেলা সমূহের জন্য কমপক্ষে কতজন শিক্ষার্থী হলে স্কুল পরিচালনা, বেতন ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে তা সরকার নির্ধারণ। প্রতিটি স্কুলে শিক্ষকও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। অর্থৎ একজন শিক্ষক ১০ জনপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে পড়াবেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১: ৮ জন। পেশাজীবী স্কুলে অনুপাত হবে ১ : ২০ জন। স্কুলের আয়া অর্থাৎ সহায়ক হবে ১ : ১০ জন। প্রতি ৫০ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থীর জন্য একজন ভ্যান চালক হবেন ১ জন। ভ্যানে প্রতি ২৫ জনের জন্য একজন ভ্যান চালক থাকবে। নৈশ প্রহরী হবে ২ জন। স্কুলে শিক্ষার্থীদের চাহিদার আলোকে অডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, হেয়ারিং এইড, ফিজিওথেরাপি,অকুপেশনাল থেরাপি,বিহেভিওরাল থেরাপি, কাউন্সিলিং এবং শরীর চর্চার ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষকদের জন্য পাঠদান উপকরণ হিসেবে এবকাস ও ট্রেইলর ফ্রেম, টকিংবুক, হুহইল চেয়ার, লো ভিশন গ্লাস, পেন্সিল গ্রিপস, বুক হোল্ডার, রিডিং ষ্ট্র্যান্ড, সাইন ল্যাংগুয়েজ উপকরণ, সাড়াছড়ি,হেয়ারিং এইড, ক্রাচ, গ্লোব, ম্যাপ,ফ্লাশ কারড, টকিং ক্যালকুলেটর, স্ক্রীন রিডারসহ যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ থাকবে। আরো থাকবে থাকবে ছবির বই, পুতি, ডিসপ্লে বোর্ড, পাপেট, কাঠি, ব্লক, পাজেল এবং ফ্লোরমেট।

শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধীতার ধরণ, সক্ষমতা ও বয়স অনুযায়ি প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখা পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। ১৫ বছরের অধিক বয়সী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বৃত্তমূলক ও কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি পুনর্বান, প্রশিক্ষণ এবং গুরুতর শারিরীক প্রতিবন্ধী শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয় সহজ, উপযোগী, বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ থেরাপি সংশ্লিষ্ট সরঞ্জমাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রতিবন্ধীতা বিষয়ে কর্মসংস্থানসহ সকল বিষয়ে পিতামতা যত্নকারী বা পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন বিশেষ দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেবে। পাঁচ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে ভাষা বিকাশের জন্য ষ্পীচ থেরাপি বাধ্যতামূলক। শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধীদের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পণার অংশ হিসেবে আগ্রহ ও চাহিদার ভিত্তিতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ বুটিক, সেলাই, সূচিকর্ম, ব্লক বাটিক, বই বাঁধাই, ঠোঙ্গা বানানো, মোম বানানো, হাঁস মুরগি পালন, বেকারি প্রশিক্ষণ,বাগান করা, গৃহস্থালি কাজ, হাট বাজার প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।এছাড়া কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বিউটিফিকেশন, ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সরকারি বেসরকারি সংস্থার চাহিদা মোতাবেক কাজে লাগানো হবে।

খসড়া নীতিমালায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অংশে বলা হয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে টক এন্ড টুচ পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলা, ইংরেজী এবং অন্যান্য বিষয়ে ব্রেইলি পদ্ধতি এবং গণিতের জন্য এ্যাবাকাস ও ট্রেইলর ব্যবহার করতে হবে। অডিও ক্যাসেট ও বিশেষ করে বিজ্ঞান ও ভূগোলের ক্ষেত্রে রেইস ডায়াগ্রাম ব্যবহার কতে হবে। স্বল্প দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বড় ছাপার বই থাকতে হবে। প্রতি তিন মাসে একটি অভিবাবক সভা করতে হবে। শারিরীক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ফিজিওথেরাপি,স্পীচথেরাপি ও অকুপেশনাল থেরাপির ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে। মানসিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তের সঙ্গে তার আগ্রহ, মানসিক অবস্থা, চাহিদা বিবেচনা করে প্রশিক্ষণ সংগীত, অংকন, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক প্রতিবন্ধী স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক সদস্য সচিব থাকবেন। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি তিন বছরের জন্য নিযুক্ত হবে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি, প্রধান শিক্ষক সদস্য সচিব থাকবেন, ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি তিন বছরের জন্য নিযুক্ত হবেন। সেনানিবাস এলাকার প্রতিবন্ধী স্কুলের সভাপতি হবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কর্ণেল অথবা সমমর্যাদার কর্মকর্তা। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সদস্য সচিব হবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই কমিটিগুলো স্কুল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করবেন। শিক্ষার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করবেন। শিক্ষার্থীর সঙ্গে অবহেলা, অমর্যাদাপূর্ণ আচরণ করলে দায়ীর বিরুদ্ধে বিধিমোতববেক ব্যবস্থা নেবেন।

নতুন বিদ্যালয় স্থাপন, নিবন্ধন ও স্বীকৃতির ক্ষেত্রে কি হবে তা খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে। জরিপে যে এলাকায় প্রতিবন্ধী বেশী পাওয়া গেছে সে মোতাবেক স্কুল অনুমোদন দেওয়া হবে। জেলা পর্যায়ে কমপক্ষে একটি প্রতিবন্ধী স্কুল করা হবে। স্কুলের নামে সিটি করপোরেশন এলাকায় পাঁচ শতক এবং সিটি করপোরেশনের বাইরে ১৫ শতক জমি স্কুলের নামে থাকতে হবে। ব্যক্তির নামে প্রতিবন্ধী স্কুল অনুমোদন নিতে হলে স্কুলের ব্যাংক হিসেবে নম্বরে নগদ ১০ লাখ টাকা ডোনেশন দিতে হবে। দাতা সদস্য হতে চাইলে ২ লাখ টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দিতে হবে। যে সব স্কুল চালু রয়েছে অথচ নিজস্ব জমি ও ভবন নেই তারা এই নীতিমালা জারির দুই বছরের মধ্যে স্কুলের নামে জমি রেজিস্ট্রেশন এবং ভবন নির্মাণ করতে হবে। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ৩০ ঘন্টা ক্লাস করতে হবে। যে সব শিক্ষক বর্তমানে প্রতিবন্ধী স্কুলে কর্মরত এবং সরকারি বেতন ভাতাদি ভোগ করছেন তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণযোগ্যতা না থাকলে বিদ্যমান বেতন ভাতা পাবেন না। বরং এক ধাপ নিচের গ্রেডে বেতন পাবেন এবং তিন বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে তিনি চাকরিচ্যুত হবেন। নীতিমালার শর্ত পূরণ না করলে, মিথ্যা তথ্য প্রদান, ভূয়া শিক্ষক নিয়োগ, ভূয়া শিক্ষার্থী ভর্তি, ভূয়া শাখা দেখানো, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন এবং শিক্ষার্থীর ভূয়া ফলাফল তৈরি করলে কর্তৃপক্ষ সরকারি বেতন ভাতার অংশ সাময়িক বন্ধ, কর্তন, বাতিল করতে পারবে। তদন্তে অনিয়ম ধরা পড়লে। বন্ধ করা বেতন ভাতার সরকারি অংশের কোন বকেয়া প্রদান করা হবে।

খসড়া নীতিমালায় শৃঙ্খলা ও অসদাচরণ বলতে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত, বিনা অনুমোতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অননুমোদিত ছুটিভোগ, উল্লিখিত বিষয়াদি সংক্রান্ত সরকারি আদেশ অমান্য করা, নৈতিক অবকক্ষয় সৃষ্টি করে এমন কাজ করা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবজ্ঞা,প্রহার, কটুক্তি, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করা, সম্পত্তির অপব্যবহার করা, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপস্থি কাজ করা এবং দুর্নীতে সম্পৃক্ত থাকার প্রমান থাকলে তা শৃঙ্খলার পরিপন্থি ও অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। শাস্তি হিসেবে ১১তম থেকে তদেুর্ধ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শাস্তি দেবেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের এমডি। ১১তম গ্রেডের নিম্ন গ্রেডের শাস্তি দেবেন সংশ্লিষ্ট পরিচালক। শাস্তি হিসেবে তিরস্কার, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেতন ভাতা স্থগিদ, অবহেলা জনিত কারণে অর্থিক ক্ষতি হলে ব্যক্তির বেতন থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক আদায়, নিম্ন ধাপে পদানবতি, চাকরি থেকে অপসারণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে এবং সরকারি ও সরকারি আইনে পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির অযোগ্য ঘোষণা করা।

চ্যালেঞ্জসমূহ : সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষদের মাইন্ডসেট একটি বড় সমস্যা। কাজটি বেশ জটিল তবে অসম্ভব নয়। শিক্ষদের মানবিক হতে হবে। সংবেদনশীল কাজ বিধায় কর্তৃপক্ষেন কঠোর নজরদারি এবং তদারকি বাড়াতে পারলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবন্ধী শিশুকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। সরকারের সদিচ্ছার কোন অভাব নেই। সেই ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের শতভাগ আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা উল্লিখিত মতামত দিয়েছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর