যশোরে তৃষা ধর্ষণ হত্যা মামলার আসামিদের ভয়ে তৃষার পরিবার এলাকা ছাড়া !

যশোর শহরের কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তৃষাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলা করে তৃষার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তা হারিয়েছেন।

জীবন বাঁচাতে যশোর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। নিহত তৃষার বাবা তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগকরে বলেন,আসামিদের আটকের দাবিতে মামলা করে, একাধিকবার মানববন্ধন হলেও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে তৃষার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।বর্তমানে মামলাটি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে রয়েছে।

নড়াইল সদর উপজেলার ভাটিয়া গ্রাম থেকে যশোর শহরে জীবিকার তাগিদে এসেছিলেন তরিকুল ইসলাম। যশোর শহরে তিনি ইজিবাইক চালাতেন।খোলাডাঙ্গা স্যালভিশন আর্মি পাড়ায় কোমর আলীর বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন।

তিনি আরো বলেন,গত ৩ মার্চ একই এলাকার প্রফুল্ল বিশ্বাসের বাড়ির ভাড়াটিয়া শামীম,সাইফুল ও শক্তি তার মেয়েকে ধর্ষন করে পরে তৃষার লাশ গুম করে।তৃষার মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় তার বাড়ির পাশে গর্তের মধ্যে ফেলে রাখে।৪ মার্চ তারা লাশের সন্ধান পান।

এ ঘটনা শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী আপরাধীদের শাস্তির দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন করে। তারপর বন্দুকযুদ্ধে এ মামলার আসামি শামিম মারা যায়।অপর আসামি সাইফুল আটক হলেও মূলহোতা শক্তি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।স্থানীয়ভাবে সে প্রভাবশালী ব্যক্তি।সেই কারনে এখনো পুলিশ তাকে ধরছে না।সে প্রকাশ্যেই রয়েছে এবং বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় যশোর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছি।এ মামলার যশোর কোতয়ালী মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেহাবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় কোনো আসামির নাম নেই।এমন কি শক্তিরও নাম নেই। এ কারণে কাউকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া তৃষার অভিভাবকরা হুমকির বিষয়ে পুলিশকে কিছু না জানিয়েই যশোর ছেড়ে দিয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর