স্ত্রীর পরকীয়া: দুই মেয়েকে খুন করে শিক্ষকের আত্মহত্যা

স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। ছ’বছর আর ১৮ মাসের দুই শিশুকন্যাকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছেন এক গাড়ি চালকের সঙ্গে। তার জেরে দুই মেয়েকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হলেন এক শিক্ষক। শুধু তাই নয়, দুই মেয়ের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে খুন করেন। নিজে আত্মহত্যা করার আগে হোয়াটসঅ্যাপে স্ত্রীকে সেই ছবিও পাঠিয়েছিলেন বছর চল্লিশের ওই শিক্ষক।

রোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার বল্লারপুরে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় মানসিক অবসাদ থেকেই এই বীভৎস ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋষিকান্ত কুদুপল্লি নামে আইটিআই-এর ওই শিক্ষক বল্লারপুরে স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন। তাদের দুই মেয়ে। ছ’বছরের নারায়ণী এবং ১৮ মাসের কার্তিকী। অভিযোগ, তার স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে। তিনি পেশায় গাড়ি চালক। কয়েক দিন আগেই দুই মেয়েকে ফেলে তিনি পালিয়ে গিয়েছেন ওই ড্রাইভারের সঙ্গে। ঋষিকান্তের ভাই গোপাল সি কুদুপল্লি জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন দাদা। সেই কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

ঘটনার পর গোপালবাবুই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। স্থানীয় থানার পুলিশ অফিসার সুনীল কাম্বলি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত একটা থেকে দু’টোর মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, প্রথমে দুই শিশুকন্যাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে খুন করেন ঋষিকান্ত। তার পর সেই ছবি পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন। তার পর নিজেও ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।পুলিশ ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর