সম্রাট এখন ঢাকাই আছেন, কিছুটা চাপে আছেন

রাজধানীসহ সারাদেশের ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলছে। র‍্যাব-পুলিশের এ অভিযানে ক্যাসিনোগুলো বন্ধের পাশাপাশি এরসঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের ধরা হচ্ছে। ফলে আটক হয়েছেন বড় বড় প্রভাবশালীরাও। এ ছাড়া নজরদারিতেও রয়েছেন অনেকে। অভিযানে ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ হোসেন ভূঁইয়া। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকেরা মনে করেন, ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

এ অভিযান শুরুর পর যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা র‍্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু সম্রাট এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযান শুরুর প্রথম তিন দিন তিনি দৃশ্যমান ছিলেন। ফোনও ধরতেন। কিন্তু এখন তিনি কোথায় আছেন, তা তার সংগঠনের কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না।

অভিযান শুরুর পর কয়েক দিন কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানের পর অন্য স্থানে চলে গেছেন সম্রাট। তিনি কোথায় গেছেন, সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

ভূঁইয়া ম্যানশনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সম্রাট অবস্থানকালে শতাধিক যুবক তাকে পাহারা দিয়ে রাখছিলেন। সেখানেই সবার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্রাট পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। তিনি ঢাকাতেই আছেন। সম্রাটের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না? জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সবাই সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন।

যুবলীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, সম্রাট কিছুটা চাপে আছেন। তাকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হবে কি না, বিষয়টি এখনো তিনি নিশ্চিত নন। তবে তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে চাপ বাড়ছে। এ কারণে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন তিনি।

ক্যাসিনোকাণ্ডে অভিযুক্ত সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর