অগ্নিপ্রতিরোধ, নির্বাপণ আইন ২০০৩ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০১২ অনুযায়ী ঢাকার বহুতল ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তায় বা অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলায় কী ব্যবস্থা আছে সে বিষয়ে একটি যৌথ প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার মাসের মধ্যে কমিটি করে এ সময়ের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত আকারে এ প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেছেন, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, লোকবলসহ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা জানতে এক মাসের মধ্যে সংস্থাটির মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে হবে।
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা, বনানীর এফ আর টাওয়ার, গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটসহ বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণসহ এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার রিট আবেদনটি করেন গুলশান সোসাইটির মহাসচিব ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। সোমবার আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
আইনজীবী শুক্লা সারওয়াত সিরাজ পরে সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী আদেশ ও রুলের বাইরে আদালত ঢাকা শহরের মতো জায়গায় অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলায় যান্ত্রিক সুবিধা, লোকবলসহ সামগ্রিক কী কী ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে বুয়েট-জাপান ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার প্রিভেনশন অ্যান্ড আরবান সেফটি বিভাগের কাছ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন নিয়ে তা দাখিল করতে বলেছেন।
স্বাধীন তদন্তের পর চকবাজার ও এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে, জনসচেতনা বাড়াতে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অগ্নিদুর্ঘটনা ও মোকাবেলা বিষয়ে প্রশিক্ষণমূলক সূচি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং গুলশান এলাকায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনে জমি বরাদ্দের কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, শিক্ষা এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ও রাজউক চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।