মাদ্রাসা থেকে ছাত্রী নিখোঁজ, কর্তৃপক্ষ বলছেন ‘জিনে’ নিয়ে গেছে

রাজধানীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের দাবি, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে, ওই ছাত্রীকে ‘জিনে’ নিয়ে গেছে।

নিখোঁজ শিক্ষার্থীর নাম সারজিন আক্তার। সে মিরপুরের শাহ্ আলীবাগের বাসিন্দা মো. শরীফ উল্লার মেয়ে। গত ৪ বছর ধরে বাউনিয়া বাঁধ জামিয়া ফোরকানিয়া তালিমিয়া মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছিলেন।

মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা মো. শরীফ উল্লা ও তার মা শিল্পী আক্তার।

এ সময় শরীফ উল্লা বলেন, গত ৮ আগস্ট ঈদুল আজহার ছুটিতে আমরা সারজিনকে বাসায় নিয়ে যাই। এরপর ২৭ আগস্ট ছুটি শেষে আমি তাকে মাদরাসায় দিয়ে আসি। ৩১ আগস্ট বিকেলে মাদ্রাসা থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়, আমার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমি মাদ্রাসায় যাই।

গেটে গিয়ে দারোয়ানকে বলি মেয়েকে ডেকে দিতে। অনেকক্ষণ পর দারোয়ান ভেতর থেকে গেটে এসে জানালেন, আমার মেয়েকে নাকি সকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুর পর্যন্ত সে ফেরেনি। তখন আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিক শিক্ষক ও মাদ্রাসার আপাকে ফোন করে আমার মেয়ের বিষয়ে জানতে চাই। তখন তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন।

একবার বলেছেন, তার বাবা এসেছে বলে দেখা করতে গেটে গিয়েছিল, আর ফেরেনি। আরেকবার বলেন, আমার মেয়ের ওপর নাকি জিন আছে, তাকে নাকি জিনে নিয়ে গেছে। আবার বলে, আমার মেয়ে নাকি অসুস্থ, অজ্ঞান হয়ে সিঁড়িতে পড়ে গেছে।

মেয়েকে খুঁজতে মাদ্রাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চেয়েছিলেন বলে জানান শরীফ উল্লা। তবে তাকে তা দেখতে দেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর