অপরিকল্পিত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে রাজউক

রাজধানীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবনের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একইসঙ্গে যেসব বহুতল ভবনে অগ্নি নির্বাপণ সুবিধা বা সরঞ্জাম নেই সেগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। আজ (সোমবার) সকাল থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।

রাজউকের ৮টি জোনের অধীনে ২৪টি টিম (অথোরাইজড অফিসার, সহকারী অথোরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকের সমন্বয়ে) ১০ তলার বেশি বহুতল ভবনগুলোর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

জোনগুলো হচ্ছে, জোন-১ (আশুলিয়া, ধামসোনা), জোন-২ (উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর), জোন-৩ (সাভার, মিরপুর), জোন-৪ (গুলশান, বনানী, মহাখালী, পূর্বাচল), জোন-৫ (ধানমন্ডি, লালবাগ), জোন-৬ (মতিঝিল, ভুলতা), জোন-৭ (কেরানীগঞ্জ, জুরাইন, সূত্রাপুর, ওয়ারী) এবং জোন-৮ (ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও )। তাদের এ অভিযান আগামী ১৫ দিন চলবে বলে রাজউক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

একইসঙ্গে এসব ভবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর হলে প্রয়োজনে ভবনটি সিলগালা করে দেয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে ১৯৯৬ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী যেসব বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে শুধুমাত্র সেসব ভবনের বিরুদ্ধেই অভিযান চলবে। অভিযানে বনানীর এফআর টাওয়ার ও এর আশপাশের বা কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের বহুতল ভবনগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

ভবনগুলোতে আগুন নেভানোর নিজস্ব ব্যবস্থা কেমন, মূল সিঁড়ির পাশাপাশি জরুরি বিকল্প সিঁড়ি আছে কি না, পাম্পের কী অবস্থা, লিফট-ফায়ার লিফট, জেনারেটর কক্ষ ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আছে কি না এসব বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হয়েছেন।

অল্প সময়ের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকায় দুটি বড় অগ্নিকাণ্ডের পর বহুতল ভবনগুলোর অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থার অবস্থা নিয়ে নতুন করে দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর