অচিরে বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল ও দেখা যাবে ভারতে

বিটিভি ভারতে এসেছে, আশা করি আগামীতে বেসরকারি চ্যানেলগুলো আসবে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কলকাতার নিউটাউনে অবস্থিত ‘রবীন্দ্র তীর্থ’ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইন্দো-বাংলা সামিট-২০১৯’ এ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেলগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা চলছে, অচিরেই বেসরকারি চ্যানেলগুলো ভারতে আসবে।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ‘ইন্দো-বাংলা সামিট-২০১৯’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কলকাতাকে কখনও আলাদা মনে করি না। মনে করি আমি বাংলাদেশেই আছি। কারণ আমাদের ভাষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি একই।

তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ হাজার বছরের পুরনো। আমাদের এক জাতি, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি একই। বাংলাভাষা পৃথিবীর অন্যতম মাধুর্যময় ভাষা।

সমগ্র পৃথিবীতে এক সময় এ অবিভক্ত ভারতের যৌথ বাংলাই ছিলো ধনী। এখন পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে। সেই বিপ্লব জোর দিয়েছে ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজির ওপর। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্যোগ আজকে বাস্তবায়নের দিকে। ভারতে একই রকম উদ্যোগ নিয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি মনে করি নিজেদেরকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর শিক্ষা কখনোই বেড়াজাল মানে না। বাস্তবে শিক্ষা আদান-প্রদানে দুই দেশ আরও উন্নত হতে পারে। এর সঙ্গে আরও বাড়াতে হবে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে এককভাবে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। এ অঞ্চল উন্নত হলে বাংলাদেশ-ভারত উন্নত হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রধান তৌফিক হাসান, বাংলাদেশের লিডিং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী ও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। এছাড়া বাংলাদেশের ৬ জেলার শিক্ষা পর্ষদ এবং ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বনমালী ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর