মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে,কতটা এগিয়েছে সেটা অজপাড়া গাঁয়ের দৃশ্যই বলে দিচ্ছে। তবে পথ অনেক কঠিন। শুরুটা এমন সহজ ছিলো না। পেছন থেকে শুনতে হয়েছে অনেক কটুকথা। অনেক কুসংস্কার,অনেক বাঁধা ওপেক্ষা করে নিয়মিত প্রায় ৫শ’শিক্ষার্থী চরটেকী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে যাচ্ছে সাইকেল চালিয়ে। তবে রয়েছে বখাটেদের উত্তাপ, যার ফলে অভিবাবকরা স্কুলে যেতে দিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে। কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে লেখাপড়া করে উপজেলারসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মেয়েরা। দূরের সবাই সাইকেলে যাতায়াত করে। স্কুলে একাডেমিক ভবন সংকট, রাস্তাঘাটের অবস্থা করুন যা অভিভাবকসহ শিক্ষকরাও থাকে দুশ্চিন্তায়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, “আমরা প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে আসার সময় ছেলেরা ইভটিজিং করে, তাই বাড়ি থেকে স্কুলে আসেতে দেয় না। আর এই সমস্যার কারণে মাধ্যমিক পাড় হওয়ার আগেই অনেকে ঝড়ে পড়ে। আমাদের স্কুলে আসার রাস্তাঘাট ভাল না, ইকটু বৃষ্টি হলেই স্কুলে আসার মতো পরিবেশ থাকে না।”
স্কুলের সহকারি শিক্ষক ইলিয়াস উদ্দিন চুন্নু জানান, “ স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। একটা একাডেমিক ভবন জরুরী। আর স্কুলের মাঠটি একদেম ছোট, মেয়েরা খেলাধূলাও করতে পারে না। ”
চরটেকী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, ১৯৯৩ সালে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত এর যাত্রা শুরু হয়, ১৯৯৬ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০২ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নিত হয় ও ২০০৬ এ একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে তবে আজঅবধি নবম ও দশম শ্রেনীর এমপিওভুক্তি হয়নি। বিদ্যালয়টিতে সরকারি কোনো একাডেমিক ভবন নেই । জেলার শীর্ষপর্যায়ের প্রতিষ্ঠান হয়ে সরকারের কাছে একাডেমিক ভবন ও এমপিওভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান জানান, “দ্রুত এমপিওভুক্তির ব্যবস্থার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আর কেউ ইভিটিজিং করলে, আমার নাম্বার দেয়া আছে, জানালে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো।”
একদিন গ্রাম-গঞ্জ, মফস্বল ও দেশ ছাড়িয়ে তারা বিশ্বজয় করবে এই প্রত্যয়ে চরটেকি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের মেয়েরা।
ভিডিও…
বখাটেদের উৎপাত, একাডেমিক ভবনসহ নানা সমস্যায় সাইকেল বালিকারা….
বখাটেদের উৎপাত, রাস্তাসহ নানা সমস্যায় সাইকেল বালিকারা….ভিডিও:- সামসুল আলম শাহিন
Gepostet von Barta Bazar am Donnerstag, 12. September 2019
বার্তা বাজার/এস.আর