দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা : পলাতক সেই ছাত্রলীগ নেতা

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসার হামলায় পরিদর্শক (তদন্ত) ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে একটি মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করলেও এখনো পলাতক রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মুসা। মুসাকে গ্রেফতারে রাতভর অভিযান চালানো হয়েছে।

ঘটনা পর বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ শহরের সালামতপুর এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে মুসাকে গ্রেফতার করতে তার দোকানে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় মুসাসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন দোকান থেকে একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।

হামলায় পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার এবং এসআই ফখরুজ্জামানসহ ২ জন কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাদের কুপিয়ে মুসা দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ কনস্টেবলদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

পরে গুরুতর অবস্থায় পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমারকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ মুসার মা শামছুন্নাহার, বোন মৌসুমী আক্তার, তান্নি আক্তার ও শাম্মি আক্তারকে আটক করে।

মুসাকে আটক করতে রাতভর অভিযান চালানো হয়। সকাল থেকেও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এ ঘটনায় এসআই ফিরোজ আহম্মেদ বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, মুসা একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে তার দোকানে অভিযান চালালে সে অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর