চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার আশাশুনির কাপসান্ডার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও হত্যাসহ প্রায় ৪০টির অধিক মামলার আসামী রমজানের বোন কর্তৃক প্রয়াত সহযোগি মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলায় এবং চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধ মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের মৃত. মানিক চন্দ্র মন্ডলের ছেল বীরমুক্তিযোদ্ধা দিনেশ চন্দ্র মন্ডল।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গদাইপুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মোহাজার আলী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ স্বপক্ষের একজন মানুষ। ১৯৭১ সালে খুলনার সেক্টর কমান্ডার রহমাতুল্লা দাদুর সাথে ৩ মাস থেকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে, খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের।

তার পুত্র শাহনেওয়াজ ডালিম ২০১১ সালের খাজরা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসাবে খুলনা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০১৬ সালে একইভাবে নির্বাচিত হন। আর এই চেয়ারম্যান ডালিমের খ্যাতি, সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী রমজান তার বোনকে দিয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।

একাধিক মামলার আসামী রমজানের নেতত্ব এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করাসহ বহু লোকের জমি জোর পূর্বক দখল করে। এসব বিষয় খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম প্রতিবাদ করলে বিরোধ বাঁধে সন্ত্রাসী রমজান ও তার বাহিনীর সাথে।

পারশিমারী গ্রামের কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডলের ২১ বিঘা, একই গ্রামের তারকের ৫০ শতক, স্বপন রায় ও দেবন গাইনের ১ একর ৫০ শতক, ইকবাল হোসেনের ১ একর, আমজাদ সরদার, নজরুল সরদার, জাফরের ৩ একর ৫০ শতক জমি রমজান তার বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে। এছাড়া ২০০৬ সালে তার পারিবারিক গোলযোগের কারণে কাপসন্ডা গ্রামের জবেদকে কুপিয় হত্যা করে। এছাড়া তার নামে আশাশুনি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্রন আইনের দুটি মামলা রয়েছে। রমজান বাহিনীর ভাইপো সাকিল ও আছাদুল একাধিক মাদক মামলার আসামী। সে মাদক ও চোরাচালানীর গডফাদার।

তিনি বলেন, গত ২০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সাবেক মেম্বার ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেনের মৎস্য ঘেরে অনধিকারভাবে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এরই জের গত ২২ আগস্ট সকালে কবির হোসেন ও তার ভাই মিলন মটরসাইকেল যোগে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে কাপসন্ডা গ্রামে পৌঁছালে রমজানসহ তার বাহিনীর সদস্য খোকা, সাকিল ও নূরুল্লাহ তাদের গতিরোধ করে দাবিকৃত চাঁদর টাকা চাইলে এতে তারা অস্বীকার করায় তারা তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা, রামদাসহ ধাওয়া করে।

জীবনের ভয়ে পার্শ্ববর্তী ছাত্তার গাজীর ঘরের ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নিলে তারা দরজা ভেঙ্গে কবির মেম্বর এবং মিলনকে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য ছাত্তার ও সামাদ এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও একই কায়দায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহতদের মধ্যে সামাদ গাজী ও কবির হোসেনের অবস্থা আশংকা জনক। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী রমজান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় মামলা দায়ের করে ভূক্তভোগী পরিবার।

তিনি আরো বলেন, উক্ত মামলা থেকে বাঁচতে এবং ওই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গত ২/৯/২০১৯ তারিখে রমজানের বোন সাজিদা খাতুন চেয়ারম্যান ও তার মরহুম পিতাকে জড়িয়ে মিথ্যা রাজাকারের অভিযোগ তুলে একজন সম্মানি মানুষের মানহানি করে একটি মিথ্যা কাল্পনিক সংবাদ সম্মেলন করে।

যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কল্পকাহিনী মাত্র। উক্ত সাজিদা খাতুনের অভিযোগের ন্যুনতম কোন সত্যতা নেই। শুধু মাত্র চেয়ারম্যানকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এধরনের মিথ্যাচার করা হয়েছে। এছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও জঘন্যতম মন্তব্য করা হয়েছে।

তিনি এ সময় মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মলনকারী সাজিদার শাস্তির দাবিসহ উক্ত সন্ত্রাসীর হাত থেকে খাজরা ইউনিয়নসহ আশাশুনি উপজেলাবাসীকে রক্ষা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় খাজরা ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর