সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের বিক্ষোভ

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মশিউর রহমানকে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি এবং তার কাজীপাড়াস্থ প্রাইভেট চেম্বার সেন্ট্রাল হসপিটাল হামলাও ভাংচুর ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের ডাক্তার, স্টাফসহ বিএমএ, জেলা ডায়াগনোস্টিক ও ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশন এবং জেলা কেমিস্ট ড্রাগিস্টের ডাক্তার. নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন।

আজ বৃহষ্পতিবার বিকাল ৩টায় মেডিকেল কলেজ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে।

বিএমএ এর সভাপতি ডাঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ডাঃ সিদ্ধার্থ শংকর দাস সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মাহমুদুর রহমান, জেলা ডায়াগনোস্টিক ও ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক বশির আহমেদ মৃধা, জেলা কেমিস্ট ড্রাগিস্টের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ, সাধারন সম্পাদক গাজী শহীদুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

প্রকাশ, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮.৩০ মিঃ সময় শাকির হোসেন (৪০) সারাপেটে ব্যথা নিয়ে সেন্ট্রাল হসপিটালে ডাঃ মশিউর রহমানের কাছে হাজির হয়। চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিস্ট পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন এবং ফোন দিয়ে হাসপাতালের ডাক্তার ও সেবিকাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

রাত ৮.৪৫ মিঃ শাকির হাসপাতালে ভর্তিহন এবং চিকিৎসকের প্রদত্ত চিকিৎসা অনুযায়ী চিকিৎসা শুরুর পর রাত ১০.১০ মিঃ সময় ৩/৪জন সন্ত্রাসী যুবক সেন্ট্রাল হসপিটালে ঢুকে ডাঃ মশিউর রহমানকে তাদের সাথে যেতে বলে।

এ সময় মুমূর্ষ রোগী আছে বললে সন্ত্রাসীরা উত্তেজিত হয়ে গালাগাল করে চলে যায়। মুমূর্ষ রোগী দেখে ডাঃ মশিউর রহমান দ্রুত মোটর সাইকেলে হাসপাতালে শাকির হোসেনকে দেখতে যায় এবং সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে কিনা তদারকি করেন এবং একটি কেবিনের ব্যবস্থা করে দেন।

ইতিমধ্যে সন্তাসীরা আরও কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে রাত ১০.৫৫ মিঃ সময় দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে সেন্ট্রাল হসপিটালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং কর্মরত স্টাফদের মারধর করে এবং ডাঃ মশিউর রহমানকে খোঁজতে থাকে আর হত্যা করবে বলে হাক-ডাক দিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে হসপিটালের মূল্যবান মালামাল ও যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়।

এতে হসপিটালে অবস্থানরত রোগী ও রোগীর স্বজনা ভীত সন্ত্রস্থ হয়। জানাগেছে, রোগী শাকির ডাঃ মশিউরের আপন ফুফাতো ভাই। এ সম্পর্কে ডাঃ মশিউর রহমান শাকিরকে আন্তরিকভাবে যথাযথ সঠিক চিকিৎসা দেন। উক্ত সন্ত্রাসী ঘটনায় সেন্ট্রাল হসপিটালের স্টাপ নুরুল ইসলাম রনি ৮ সেপ্টেম্বর সদর থানায় ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ একটি এজার দাখিল করেন।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর