গরুর নাম শুনলেই চুল খাড়া হয়ে যায় তাদের

গরু নিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারতের দুর্ভাগ্য যে, কিছু মানুষের কানে গরু ও ওম শব্দ গেলেই চুল খাড়া হয়ে যায়। তারা মনে করে, ভারত ষোড়শ শতাব্দীতে পৌঁছে গিয়েছে। ভারতকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি।

বুধবার ভারতের মথুরায় জাতীয় পশু রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প স্বচ্ছতা, সেবা ও জাতীয় কৃত্তিম প্রজনন প্রকল্পের সূচনা করে একথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।

তিনি বলেন, ব্রজভূমি মথুরা চিরকাল বিশ্ব ও মানবতাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজ পরিবেশ বাঁচানোর পন্থা খুঁজছে গোটা বিশ্ব। ভারতের কাছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আদর্শ। পরিবেশ প্রেম ছাড়া তাকে কল্পনাই করা যায় না। প্রকৃতি, পরিবেশ ও পশু ধন ছাড়া তিনি অসম্পুর্ন, ততোটাই অসম্পুর্ন ভারত। পরিবেশ ও পশুধন চিরকালই ভারতের আর্থিক ভাবনার মহত্বপূর্ন অংশ।

কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে পশু পালন ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, পরিবেশ ও পশু সম্পদ ভারতের আর্থিক ইন্নতির গুরুত্বপূর্ন অংশ। কৃষকদের আয়বৃদ্ধিতে বড়োসড়ো ভূমিকা রয়েছে পশুপালনের। এতে বিনিয়োগ করলে আয় বেশি হয়। মোদি দাবি করেন, ভারতের কৃষকদের আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ। দেশে সব মানুষের ঘরে যাতে গরু থাকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

মোদির এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমীন প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ‘গো-রক্ষক’দের দ্বারা ঘটিত গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, গো-রক্ষার নামে মানুষ খুন হলে নরেন্দ্র মোদির উচিত তাতে উদ্বিগ্ন হওয়া। যখন গরুর নাম করে মানুষ মারা হচ্ছে এবং সংবিধানের সর্বনাশ করা হচ্ছে, তখন মোদির কান খাড়া হওয়া উচিত।

ওয়েইসি আরও বলেন, যদিও আমাদের হিন্দু ভাইদের কাছে গরু একটি পবিত্র প্রাণি, তবু বলব, সংবিধানে কিন্তু জীবন ও সাম্যের অধিকার মানুষকেই দেওয়া হয়েছে, গরুকে নয়।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর