সাজানো প্যান্ডেল দিয়ে বের হলো ‘বরের’ মরদেহ

বিয়ের ধুমধাম আয়োজন। মেহেদী রঙ্গে রাঙ্গাতে প্রস্তুত ছিল বাড়ির সবাই। দুই সপ্তাহ আগে থেকেই দাওয়াত নামা ছাপিয়ে মেহেমান দাওয়াত থেকে শুরু করে কয়েক দিন ধরে ঘর সাজানো, বিয়ের প্যান্ডেল, গেইট, লাইটিং সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল।অপেক্ষা শুধু নতুন বউ ঘরে তোলার। কিন্তু যেই সজ্জিত গেইট দিয়ে নতুন বউয়ের হাত ধরে ঘরে প্রবেশ করার কথা ছিল, সেই গেইট দিয়েই লাশের কফিনে চিরস্থায়ী কবরস্থানে যেতে হলো নতুন বরকে।

হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের মোগলের হাট নলুয়ারপাড়া এলাকায়।

হাতে আর মেহেদী পড়া হলো না সোলাইমানের

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে বিয়ের আয়োজন চলাকালে মৃত্যু হয় ওই এলাকার মোহাম্মদ জাফর আহম্মদের ছেলে প্রবাসী মোহাম্মদ সোলাইমানের (৩০)।

বুধবার তার মেহেদি রাত ছিল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) হওয়ার কথা ছিল বিয়ের মূল অনুষ্ঠান।

বুধবার সকাল ৯টা দিকে সোলাইমানের মৃত্যু হয় বলে জানান হোছনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আগের দিন রাত থেকেই সোলাইমান তার শরীর খারাপ লাগার বিষয়টি বাড়ির লোকদের জানিয়েছিল। সকালে বাগ্‌দত্তা তরুণীর সঙ্গে তার ফোনে কথা হচ্ছিল। কিন্তু কথা বলতে বলতেই খারাপ লাগছে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সোলাইমান। পরে তাকে চন্দ্রঘোনা ক্রিশ্চিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চন্দ্রঘোনা ক্রিশ্চিয়ান হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদ্‌রোগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।

ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন আরও বলেন, পাত্রীর সঙ্গে ১০ দিন আগে সামাজিকভাবে সোলাইমানের আক্দ সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। এ জন্য কমিউনিটি সেন্টার, ঘর সাজানো, বাড়িতে প্যান্ডেল করা, অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল।

স্বজনেরা জানান, সোলাইমান পরিবারের বড় সন্তান। দীর্ঘ সময় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরলে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তিনিকেতন এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ের ঠিক হয়।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর