ভাড়াটিয়ার কাণ্ডে ‘চোখ কপালে’ বাড়িওয়ালার!

বাসা ভাড়া দেয়ার আগে বাড়িওয়ালা যেমন তার ঘর সুন্দর করে রাখেন তেমনি ভাড়াটিয় বাসা ছাড়ার ক্ষণে ক্লিন করে বাসা ছাড়েন। কিন্তু ব্রিটেনের এক ভাড়াটিয়ার কাণ্ডে বাড়িওয়ালার চোখ কপালে উঠেছে। যখন বাড়িওয়ালা দেখেছেন তার বাড়িটি আবর্জনার স্তুপ করে ভেগেছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এই স্তুপে ওই ভাড়াটিয়া থেকেছেন কীভাবে?

বার্মিংহামের এরডিনটনের তিন রুমের ওই বাড়িটিতে ভাড়া ছিলেন এক মহিলা ও তার চার সন্তান। পাঁচ বছর ধরে তারা সেখানে থাকতেন। ভাড়া ছিল ৫৯০ ইউরো।

কিন্তু তিন মাস ধরে সেই বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি পাননি বাড়িওয়ালা শাহিন মিয়া। আর যখন তিনি সেই বাড়িতে ঢুকলেন, হতবাক হলেন! এ কি অবস্থা? কীভাবে সম্ভব!

হতাশার ছাপ মুখে এঁটে অসহায় বাড়িওয়ালা বলেন, ‘পুরো বাড়িতেই ময়লার স্তুপ। সব আসবাবপত্র ভাঙ্গাচোড়া। রান্নাঘর আর টয়লেটে প্রবেশ করার যাচ্ছিল না। কারণ ফ্লোরে পায়খানায় ভরা ছিল।’

আরো বলেন, ‘ঘরভর্তি খাবার ছড়ানো। ব্যবহার করা টয়লেট পেপার, চকোলেট, বিস্কিটের প্যাকেটের স্তুপ।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ঘরে ঢুকে দুর্গন্ধে নাক বন্ধ করে ফেলি। পরে সহ্য করতে না পেরে বমি করে দেই।’

পুরো বাড়িটি পরিস্কার করতে এই বাড়িওয়ালার এখন খরচ হবে দুই হাজার ইউরো। আর বসবাসযোগ্য করতে খরচ হবে আরো কয়েক হাজার ইউরো।

সবশেষে শাহিন মিয়া বলেন, ‘ওই ভাড়াটিয়া মহিলার সাথে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। তিনি একজন স্মার্ট মহিলা। বুঝতে পারছি না, তিনি এমন কেন করলেন?’

‘গত মাসে তিনি বলেন বাড়ি ছেড়ে দিবেন। কিন্তু যাওয়ার সময় তিনি আমাকে ঘরের চাবি পর্যন্ত দিয়ে যাননি। আমি দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকেছি।’

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর