সিরাজগঞ্জে তেলবাহী জাহাজে ডাকাতির প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে রোববার সকালে ১ ঘন্টা কর্মবিরতি দিয়ে তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজ শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

জানা যায়,গত ২৮ মার্চ রাতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ও টি-আফসারা ওয়েল ট্যাঙ্কারে ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে ডাকাতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করার দাবীতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে অবস্থিত প্রায় শতাধিক জাহাজের শ্রমিকরা ১ ঘন্টা কর্মবিরতি দিয়ে এম,টি প্রেসাস ওয়ান ওয়েল ট্যাঙ্কারের উপর বাঘাবাড়ি নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন,বাঘাবাড়ি নৌবন্দর শাখার সভাপতি দাউদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,আব্দুল ওয়াহাব মিয়া,আশুগঞ্জ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহেদ আলী,নারায়নগঞ্জ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারাম হোসেন,বাঘাবাড়ি নৌবন্দর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান,বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম শাখার সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন,জাহাঙ্গীর হোসেন,ইজাজুল ইসলাম,বাবুল হোসেন,বেল্লাল হোসেন,আব্দুল রহিম,রানা মিয়া,সায়মন হোসেন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন,গত ২৮ মার্চ রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী ও,টি-আফসারা ওয়েল ট্যাঙ্কার মেঘনা নদীর চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় পৌছালে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল একটি স্প্রীডবোর্টে এসে এ জাহাজে অতংকিত হামলা চালায়।

এ সময় ডাকাত দল এ জাহাজের মাস্টার দাউদুল ইসলাম(৪৫),গ্রীজার জসিম উদ্দিন৫০),মমিন উদ্দিন(৩৩),বাবুর্চি মামুন মিয়া,লষ্কর জিল্লুর রহমান(৩০) ও সোহাগ মিয়া(৩০)কে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ছাড়া এদের মাথায় বন্দুক ও গলায় হাসুয়া-রামদা ঠেকিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ ৮৫ হাজার টাকা ৫টি দামি মোবাইল সেটসহ ২ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

তারা আরো বলেন,এ ডাকাতির ঘটনাস্থল থেকে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের ফাড়ির দূরত্ব মাত্র ৫০ থেকে ১০০ গজ। এর পরেও তাদের চিৎকারে তারা কেউ এগিয়ে আসেনি। তাদের অবহেলার কারণে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বক্তারা আরো বলেন,উত্তরাঞ্চলে জ্বালানী তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত জাহাজটি বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে।

তবে ডাকাতির বিষয়টি চাঁদপুর কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এরপরেও গত ৩দিন পার হয়ে গেলেও তারা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে এ রুটে চলাচলকারী জাহাজ শ্রমিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি পলন করছে। এরপরেও কোন ব্যবস্থা না নেয়া হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে বলে জানান।

এ ছাড়া জাহাজ মালিকদের প্রতি এ সব জাহাজের সাধারণ শ্রমিকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের পরিচয়পত্র,নিয়োগপত্র ও খাদ্যভাতা প্রদান সহ তাদের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবী জানান। এদিকে চাঁদপুর নৌপুলিশ থানার ওসি আবু তাহের বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগও দেয়নি।

অপরদিকে চাঁদপুর কোস্টগার্ড অফিস মোবাইল ফোন নম্বরে বারবার রিং করলেও কেউ রিসিভ না করায় তাদের পক্ষ থেকে কোন স্বাক্ষাৎকার পাওয়া যায়নি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর