দেশের বৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতুতে নাশকতা কর্মকান্ডের পরিকল্পনা ছিল আটক জামায়াত-শিবিরের। বনভোজনের নামে এই নাশকতার পরিকল্পনা করে তারা। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে আটক জামায়াত-শিবিরের ৩৬জন নেতাকর্মী প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে এই নাশকতার কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে গোপালপুর ও ভূঞাপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে নলিন বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের জিহাদি বই পাওয়া গেছে। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজনের নামে গোপালপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় পুর্বের নাশকতার মামলা রয়েছে। আটককৃতরা গোপালপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আটককৃত জামায়াত-শিবিরের লোকজন দেশের বৃহৎ স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতুতে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পুর্বে তারা বনভোজনের নামে সেতু এলাকায় রেকি করেছে। এরআগেও তারা নৌকা ভ্রমনে গিয়ে সরকার উৎখাতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার তারা নাশকতার তৈরির জন্য যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমনে যাওয়ার জন্য উপজেলার নলীন বাজারে একত্রিত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ৩৬জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আনা হয়। তাদের বাড়ি গোপালপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
ওসি আরো জানান, আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছে। এছাড়া দেশে আজ আশুরার অনুষ্ঠান ছিল। এই দিনে তারা বনভোজনের নামে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। এর সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বার্তাবাজার/ডব্লিওএস