চট্টলার মেঘের মতোই ঘোমড়া হচ্ছে আফগানদের ‘মুখ’

গতকাল দিনের বেলায় বৃষ্টি এলেন আর গেলেন।দিন শেষে সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন চট্টলার আকাশের মন খারাপ হতে লাগল। সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে, সকালেও বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ফলে চট্টগ্রামের আকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আফগান খেলোয়াড় আর কর্মকর্তাদের মুখও গোমড়া হচ্ছে আস্তে আস্তে। আর হবে না-ই বা কেন? আর মাত্র চারটা উইকেট নিয়ে নিলে যেখানে তারা ইতিহাসের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে যাবে, সহজ জয়ের পথে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের ভালো লাগবেই বা কেন?

এখনো পিচ ঢেকে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টির গতিক ও পিচের অবস্থা দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে, হয়তো প্রথম সেশনটা সাজঘরেই কাটাতে হবে দুই দলকে। জয়ের আশায় সকাল সকাল আফগানিস্তান মাঠে চলে আসলেও বৃষ্টি দেখে বাংলাদেশ দল হোটেল থেকে মাঠে এসেছে গদাই-লস্করি চালে।

জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে এই টেস্ট কভার করতে আসা সাংবাদিকেরাও নির্ধারিত সময়ে মাঠে আসেননি, ধীরলয়ে এসেছেন। একই অবস্থা ধারাভাষ্যকারদেরও।

গতকাল সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, টেস্ট বাঁচানোর জন্য বৃষ্টির ওপরেও ভরসা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে, ‘হারের খুব কাছাকাছি। বৃষ্টি আর স্বয়ং আল্লাহ যদি আমাদের (অপরাজিত) দুজনকে দিয়ে না খেলান তাহলে হারার সম্ভাবনা খুবই বেশি।’

শেষ পর্যন্ত অধিনায়কের মনের সুপ্ত বাসনাই হয়তো পূরণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের আকাশ!

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর