তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেপরোয়া হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গড়ে উঠেছে শত শত মোবাইল ফোন, সিম, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ভিডিও আদান-প্রদানের দোকান। সাধারণ দোকানগুলোতে এসব পণ্য বিক্রি করতে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ মানতে হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তার কোনো তদারকি নেই। আর এ সুযোগেই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পগুলোতে অবাধে সিম, মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার/ল্যাপটপ বিক্রি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবেই দেখছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

নানা ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সমাবেশের ভিডিও আদান-প্রদান করছে রোহিঙ্গারা। অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গারা স্মার্ট এবং অ্যানড্রোয়েড ফোন ব্যবহার করে ভিডিও আদান-প্রদান করে আসছে।

ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির একাধিক টাওয়ার যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে শত শত কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং সিম বিক্রির দোকান। গত ক’দিন ধরে ইন্টারনেট সংযোগের দোকানও খুলে বসে রোহিঙ্গারা। তবে সময় সংবাদের ক্যামেরা দেখে অনেক দোকান তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেয়া হয়।

এক রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের রোহিঙ্গা ‘আর ভিশন’ চ্যানেল আছে। আজমির না েএকটা ছেলে মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রচার করে।

একজন বলেন, কারো সেবার জন্য আমরা এইগুলো দোকানে নিয়ে আসিনি। আমাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য দোকানে রেখেছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা নানা ধরণের উস্কানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছে। সেই সাথে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যও ফাঁস করছে তারা।

একজন বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকারে বিরুদ্ধে অনেক ধরনের লেখা লেখে, যেমন- এদেশ আমাদের, এদেশ আমরা চাই। এদেশ আমরা স্বাধীন করবো।

আরেকজন বলেন, ফেসবুক টুইটার এগুলো দিয়ে ওরা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের কাছে স্মার্টফোন ও সিম বিক্রির নেপথ্যে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের এজেন্ট ও ডিলারদের দায়ী করলেন উখিয়ার কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের অপারেটররা যারা রয়েছে, স্থানীয় ডিলার যারা রয়েছেন, তারাই বিভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজ্রিস্টেশন করে বিক্রি করছে।

আর নিরাপত্তা বিশ্লেষক লে. কর্ণেল ফোরকান আহমদ বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের এসব কর্মকান্ড জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

তিনি বলেন, তারা তো এখানের মানুষ না, তারা কেনো এখানে এইগুলো ব্যবহার করবে। আমি অন্য কোন দেশে গিয়ে যা-তা করতে পারবো? ওরা তো এখন এটা শুরু করে দিয়েছে। সুতরাং এটা অবশ্যই হুমকি স্বরূপ, এটা আমাদের বন্ধ করা উচিত।

জেলা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪ টি ক্যাম্পে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। যাদের মধ্যে ব্যবহার হচ্ছে ৫ লাখের বেশি বাংলাদেশি মোবাইল অপারেটরের সিম।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর