কাশ্মীরে ভারতীয় সাঁতার ফেডারেশনের কোচকে গ্রেফতার

ভারত অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সাঁতার ফেডারেশনের কোচকে গ্রেফতার করেছে দিল্লির পুলিশ। সাঁতার কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করতেন।শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশ্মীর গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

গত মঙ্গলবার সাঁতার ফেডারেশনের এই কোচের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক সাঁতারু। মাপুসায় সুরজিতের কোচিংয়ে গোয়া সাঁতার ফেডারেশন অ্যাকাডেমিতে ১৫ বছরের কিশোরী প্রশিক্ষণ নিতেন। সেখানেই সুরজিৎ ওই বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন।

ওই ছাত্রী সুরজিতের কীর্তির ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। গোয়া সাঁতার ফেডারেশন তার নামে মাপুসা থানায় অভিযোগ করেন। ওই ছাত্রীর বাবা বাংলার হুগলি জেলার রিষড়া থানাতেও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুও সাঁতার কোচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। পাশাপাশি তিনি গোয়া ও বাংলার পুলিশ কর্তাদের কাছেও তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। মোবা‌ইল লোকেশন দেখে শুক্রবার সাঁতার কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, রিষড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরীর বাবা পেশায় গাড়ি চালক। গাড়ি চালিয়েই সেই অর্থে কোনোরকমে নিজের সংসার চালাতেন। মেয়ের প্রতিভা রয়েছে এমন কথা বলে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য গোয়ায় যেতে বলেন কোচ। কোচের কথায় রিষড়ায় কাজ ছেড়ে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে গোয়ায় যান কিশোরীর বাবা। সেখানে খরচ চালানোর জন্য একটি গাড়ি চালানোর কাজও খুঁজে নেন। এরপর সুরজিতের কাছে নতুন করে প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু হয় কিশোরী সাঁতারু।

জাতীয় সাঁতারুর অভিযোগ, গোয়ায় গিয়ে প্রশিক্ষণের নামে শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন কোচ। মাঝে মধ্যেই তাদের ভাড়া বাড়িতে চলে আসতেন। ৬ মাস ধরে এইভাবে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানোয় তার মানসিক বিপর্যয় ঘটে। ফলে সাঁতারে ভালো রেজাল্ট করতে পারেননি। এ ব্যাপারে মুখ খুললে কেরিয়ার নষ্ট করে দেয়ার হুমকি দেন কোচ। শেষ পর্যন্ত কোচের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসে কিশোরীর পরিবার।

ওই জাতীয় সাঁতারু বলেন, কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ করতে হয়। কোচ যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের অশালীন আচরণ করতে না পারেন, সেই জন্যই আইনের দ্বারস্থ হয়েছি এবং অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি দাবি করেছি।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর