ধর্ষ‌ণের শিকার স্ত্রী‌কে বাড়ি থেকে তাড়ালেন স্বামী

শরীয়তপুরে এক গৃহবধূ (৩৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার পর স্বামী তাকে মৌখিক তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চার সন্তান নিয়ে দুঃসহ পরিস্থিতিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

জেলার ভেদরগঞ্জ উপ‌জেলার স‌খিপুর থানার এক‌টি গ্রা‌মে ২১ মার্চ ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ অভিযোগে ২৭ মার্চ তিনি মামলা করেছেন।

সখিপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২১ মার্চ এক নারীর বাড়িতে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূও গ্রামের ওই বৈঠকে অংশ নেন। গভীর রাতে বৈঠক শেষে সবাই চলে যান। এ সময় গৃহকর্ত্রীর সহযোগিতায় ওই গৃহবধূকে বাড়িটির একটি ঘরে আটকে ধর্ষণ করেন এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি জানাজানি হলে গৃহবধূর স্বামী তাকে মৌখিক তালাক দিয়ে চার সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন। গৃহবধূ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদকে জানান।

ইউএনও তাকে মামলা করার জন্য থানায় পাঠান। এরপর সখিপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তিনি।

মামলায় জমির মাল ও তাকে সহায়তাকারী নারীকে আসামি করা হয়েছে। দুজনই পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

গৃহবধূ বলেন, তিনি পরিচিত এক ব্যক্তির আমন্ত্রণে ওই বাড়িতে বৈঠকে গিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে কিছু কথা আছে বলে তিনি তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। সরল বিশ্বাসে অপেক্ষা করার একপর্যায়ে তিনি তাকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করেন। পরে বাড়িতে ফিরলে স্বামী ওই বৈঠকে কেন গেছেন তা জানতে চান। পরে স্বামী তাকে মৌখিক তালাক দিয়ে সন্তানদেরসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন।‌

ভেদরগঞ্জ উপ‌জেলা নির্বাহী অফিসার সা‌ব্বির আহমেদ বলেন, “ভুক্তভোগী ওই নারী আস‌ছিল আমার কা‌ছে। ম‌নে হ‌চ্ছিল তি‌নি নির্যা‌তিত। তি‌নি যাতে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তার জন্য তা‌কে মামলা কর‌তে ব‌লে‌ছি। তি‌নি মামলা ক‌রে‌ছেন।”

সখিপুর থানার ওসি এনামুল হক বলেন, “মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চল‌ছে। দুজনই পা‌লি‌য়ে বেড়া‌চ্ছে।”

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর