শেরপুরে পাঁচ ঘাটে নৌকাই ভরসা, কথা রাখেনি কেউ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাঙালী নদীর পাচঁটি ঘাটে এখনো পারাপারের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। এসব এলাকায় দীর্ঘদিনেও কোন ব্রীজ নির্মিত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতারা ব্রীজ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর-বিলনোথাড় ঘাটে বাঙালী নদী পারাপারের একমাত্র অবলম্বন খেয়া নৌকা। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ৪৮ বছরে বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যরা বার বার ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেখানে আজও কোন কাজই শুরু হয়নি।

ফলে শেরপুর থেকে ঝাজর ঘাট হয়ে ধুনটের এলাঙ্গী পর্যন্ত চলাচলকারী শত শত মানুষকে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হয়। আবার অনেকেই সাঁতার না জানার কারণে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে সড়কপথে চলাচল করতে বাধ্য হন। একইভাবে খানপুর-সুঘাট ইউনিয়নের চকখানপুর-চকধলী ঘাট, খানপুরপুর্বপাড়া-কল্যাণী ঘাটেও প্রতিদিন শতশত নারী-পুরুষ কর্মজীবিরা নদী পার হচ্ছেন খেয়া নৌকায়। সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া ও সুঘাট ঘাটে বাঙালী নদী পারাপারেরও একমাত্র অবলম্বন নৌকা। এখানে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দর্শণীয় ঘাট নির্মিত হলেও আজও ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। ফলে গুরুত্বপুর্ণ এই স্থানে নদী পার হতে হলে নৌকার কোন বিকল্প নেই। বাঙালী নদীর আরও একটু দক্ষিনে গেলে ঐতিহ্যবাহী মধ্যভাগ বাজার নদীর অপরপ্রান্তে সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নলুয়া ঘাট। এ ঘাটে প্রতিদিন শত শত মানুষ দুধ কেনাবেচার জন্য মধ্যভাগ বাজারে যান নৌকায় চড়ে।

এলাকাবাসীরা জানান, খেয়া ঘাট এলাকায় ব্রীজ নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর যাতায়াত যেমন সহজ হবে। তেমনি এলাকায় ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে। ব্রীজ না থাকায় বর্ষাকালে ঝুকিঁ নিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। অনেক সময় নৌকা ডুবে যায়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী নূর মোহাম্মাদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর