আবারও দেশে ছড়াচ্ছে অ্যানথ্রাক্স

অ্যানথ্রাক্স গবাদিপশুর একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা ব্যাসিলাস অ্যান্থ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় গরু। তবে ছাগল, ভেড়া, মহিষ, ঘোড়া, জেব্রা, জিরাফ, হরিণ, শূকর, হাতি কিংবা বানরও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ায় এসব এলাকায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি অ্যানথ্রাক্স হয় পরিপাকতন্ত্রে, আরেক ধরণের অ্যানথ্রাক্স শরীরের বাইরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়।

পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর সংক্রমণ হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন- হালকা জ্বর, মাংসপেশীতে ব্যথা ও গলা ব্যথা।আর বাংলাদেশে যে অ্যানথ্রাক্স দেখা যায় তা শরীরের বাইরের অংশে প্রভাব ফেলে। শরীরের বাইরের অংশে অ্যানথ্রাক্স হলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া বা গোটা হয়ে থাকে। এছাড়া ফোঁড়া ভালো হয়ে গেলে হাতে, মুখে বা কাঁধের চামড়ায় দাগ দেখা যেতে পারে।

সাধারণত যেসব এলাকায় গবাদি পশু পালন করা হয় সেখানে অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।এ বিষয়ে বাংলাদেশের রোগতত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মেহেরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে সাধারণত কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই অ্যানথ্রাক্স হয়ে থাকে। এই রোগ গরু, ছাগল, মহিষের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৬ সালে সিরাজগঞ্জে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল অ্যানথ্রাক্স রোগ। তখন জেলার ৩টি উপজেলায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৯০ জন এ রোগে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর