কটিয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আলমগীর হোসেনকে দেখতে চায় কর্মীরা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর শাখায় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি সম্রাট আলমগীর হোসেন কে কটিয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মীর ফেসবুক স্টাটাস থেকে বিষয়টি জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সমর্থন দিয়ে অনেকেই তার ছবিসহ পোস্ট করেছেন।

পৌর ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক এই সভাপতি বহুদিন ধরে ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন নিঃস্বার্থভাবে। সুদিন ও দুর্দিনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবেও দেখা গেছে প্রথম সারিতে।

এ ব্যাপারে সম্রাট আলমগীর হোসেন জানায়, গ্রুপিং রাজনীতিতে তিনি নয় বরং সকলের একাত্মতায় কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করতে চাই। রাজনীতিতে ভালো কাজের মাধ্যমে একজন বড় মাপের নেতা হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভ্যান গার্ড বাংলাদেশর ছাত্রলীগকে শক্তিশালী ও বেগবান করতে কটিয়াদী উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌছে দিতে চান। পাশাপাশি রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে কটিয়াদী উপজেলা ছাত্রলীগকে একটি মডেল ছাত্রলীগ হিসাবে তৈরী করবেন। কাজ করবেন বাল্য বিয়ে, যৌতুক প্রথা, মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতিবাচক ভূমিকা ও ছাত্রলীগকে খেটে খাওয়া মানুষের বিপদের বন্ধু হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দিতে চান সর্বত্র। যাতে প্রতিটি মা বাবা তার ঘরের ছেলে মেয়েকে লেখা পড়ার পাশাপাশি ছাত্রলীগ করতে উৎসাহ দেয় সে নিয়েও কাজ করবেন তরুণ ও পরিশ্রমী এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সম্রাট আলমগীর হোসেন একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তাঁর দাদা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব, তাঁর বাবা মরহুম মো. রবিউল আওয়াল যুগ্নসাধারণ সম্পাদক কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামীলীগ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ শ্রমিকলীগ কটিয়াদী উপজেলা শাখা, সভাপতি বাগরাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সহ-সভাপতি কটিয়াদী বাসস্টেন্ড জামে মসজিদ এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে কটিয়াদী থেকে সমাবেশে যোগদান করেন সেইদিন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।

এছাড়াও আহত হন আরো ৪০০ দলীয় নেতা- কর্মী। ৪০০ জন আহত নেতা-কর্মীর মধ্যে একজন ছিলেন সম্রাট আলমগীর হোসেনের পিতা মরহুম মো. রবিউল আওয়াল। আওয়ামী পরিবারে এই সন্তান ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য। নম্র, ভদ্র স্বভাবের এই ত্যাগী তরুণ একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবেও বেশ পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তৃণমূল পর্যায়ে। আর তাই ছাত্রলীগকে সক্রিয় রাখতে এমন একজন ত্যাগী নেতার প্রয়োজনবোধ করছেন কর্মীসহ তরুণ সমাজ ও সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে পৌর ও উপজেলার সর্বস্তরে বেশ সাড়াও ফেলেছেন এই তরুণ।

এ ব্যাপারে সম্রাট আলমগীর হোসেন বলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে আমার দাদা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন, প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শান্তি সমাবেশে গিয়ে আমার পিতা অাহত হয়েছেন আমি তাঁদেরই উত্তরসূরী যারা সব সময় স্বাধীনতার পক্ষে রক্ত দেয়। প্রয়োজনে বাপ দাদার মতো আমার শরীরের রক্তদিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

কাজ করব জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অংশ নিতে চাই আমিও। এজন্য সকলের দোয়া, সহযোগিতা ও সমর্থন চাই।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর