ধর্ষিত সেই শিশুকন্যার সন্তানের দায়িত্ব নিবে কে ?

যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ১০ বছরের এক শিশু । গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ওয়ার্ডে। গর্ভের সন্তান এবং সে দুজনেরই অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন বাবা। আছেন দাদিও। শিশুটির বাবা জানেন না, কী হবে তাঁর শিশুকন্যাটির ভবিষ্যৎ। চিন্তায় কাতর তিনি।

পাশে থাকা দাদি বলেন, ‘গর্ভের সন্তানের দায়িত্ব নেবে কে? আমরা তো নিতে পারব না। এ ঘটনার জন্য তো ও দায়ী নয়। ও তো নিজেই শিশু, আরেক শিশুর দায়িত্ব কিভাবে নেবে?’

কথা হলে শিশুটির বাবা জানান, তিনি গরিব মানুষ। দিনমজুর হিসেবে গাছ কাটার কাজ করেন। অভাবের কারণে কয়েক বছর আগে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর তাঁর শিশু মেয়েটি তাঁর সঙ্গে থাকতো। লেখাপড়া করাবেন বলে গত বছর শিশুটিকে তার নানা মণিরামপুরের ঘুঘুরাইল গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুটি গোলাম কিবরিয়ার বাড়িতে কাজ করত।

মণিরামপুরের তাহেরপুর এলাকায় গোলাম কিবরিয়া ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটি তাঁকেও নানা বলে ডাকত। অথচ গত জানুয়ারি মাসে ফাঁকা বাড়িতে তিনি শিশুটির মুখে বালিশচাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও শিশুটিকে ধর্ষণ করেন গোলাম কিবরিয়া।

শিশুটি একপর্যায়ে বাবাকে জানায়, ওখানে আর সে থাকবে না। শেষে তাকে বাবার কাছে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু তখনো বাবা জানতে পারেননি, তাঁর শিশুকন্যাটির কত বড় সর্বনাশ হয়ে গেছে। তিন মাস আগে শিশুটির শরীর খারাপ করলে তাকে যশোরে একজন পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হয়।

চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে জানান, শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর দেখা যায় সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বার্তা বাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর