মিলেছে গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত, মামলায় পুলিশের নাম না থাকায় ক্ষোভ

যশোরের শার্শায় পুলিশের এসআই খায়রুল ও তার সোর্সের হাতে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি এলাকাবাসীর।অন্যদিকে মামলা থেকে পুলিশের এসআই খায়রুলের নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এ খবর নিশ্চিত করেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার। এ সময় বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ডিএনএ টেস্ট প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সদর হাসপাতাল আরএমও বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায়ও আলামত মিলেছে। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ডিএনএ টেস্ট প্রয়োজন আছে। এটা আসলে কোন ব্যক্তির কাজ জানার জন্য প্রয়োজন। আমরা বুঝতে পারবো বিষয়টা কার কাজ।

এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও, প্রধান অভিযুক্তের নাম না থাকায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার সহকারী পুলিশ সুপার। সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে শিগগিরই জানানো হবে।’

উল্লেখ্য, বুধবার পুলিশের এসআই ও সোর্সসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন গৃহবধু। ওই নারীর অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর তড়িঘড়ি তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও এফআইআর থেকে বাদ দেয়া হয়েছে পুলিশ সদস্য খায়রুলের নাম।উক্ত মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর