এ যেন গণিতের আলবার্ট আইনস্টাইন। স্কুল পরীক্ষায় আইনস্টাইনের গণিতে ফল খুব খারাপ হলেও জটিল উচ্চতর গণিত অনায়াসেই সমাধান করে ফেলতে পারতেন। পাবনার মাত্র ছয় বছর বয়সের এক শিশু যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে। এ বয়সেই সে স্থানীয়দের কাছে গণিতের মহাপণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গেছে।
শিশুটির নাম জারিফ ইকবাল ওয়ালীদ। পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের জাফর ইকবাল মন্টুর ছেলে সে। পড়ে স্থানীয় বনওয়ারী নগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে।
কী তার কীর্তি- জারিফ যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগসহ যে কোনো ধরনের জটিল এবং কঠিন অঙ্ক ক্যালকুলেটর বা খাতা-কলমের সাহায্য ছাড়াই নির্ভুলভাবে মুখে মুখে ফলাফল বলে দিতে পারে। তার প্রতিভার এখানেই শেষ নয়- কারও বয়সের সাল-মাস-তারিখ বলে দিলেই ওই ব্যক্তির বয়স কত বছর, কত মাস, কত দিন মুহূর্তেই বলে দেয়।
গণিতের পাশাপাশি ভূগোলেও রয়েছে তার পারদর্শিতা। যে কোনো দেশের নাম বললে দেশটির রাজধানী; রাজধানীর নাম বললে দেশের নাম এবং সেই দেশের জনসংখ্যা ও আয়তন কোনো ভাবনাচিন্তা না করেই নির্ভুল বলে দিচ্ছে।
প্রতিভাবান শিশুটিকে একনজর দেখতে এবং তার সঙ্গে কথা বলতে স্কুল ও বাড়িতে শত শত মানুষের ভিড় লেগেই থাকছে। শিশুটির বাবা জাফর ইকবাল মন্টু বলেন, তার দুই ছেলের মধ্যে ছোট ওয়ালীদ। এ বয়সে গণিতের ওপর তার দক্ষতা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এলাকার মানুষ এখন তাকে গণিতের ‘মহাপণ্ডিত’, ‘বিস্ময় শিশু’ বলে ডাকে।
বনওয়ারী নগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুর রব বলেন, ওয়ালীদের গণিতে পারদর্শিতা আমাদের সবাইকে অবাক করেছে। সে এ বছরই আমাদের স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। মেধাবী ছাত্র ওয়ালীদের লেখাপড়াসহ সার্বিক বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি।
ফরিদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল সালেক বলেন, বিষয়টি জানার পর আমার অফিসে শিশুটিকে ডেকে এনে যাচাই করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ওকে এখন এলাকার সবাই ‘গণিতবিদ’ বলে। ওর মেধার ধারাবাহিকতা রক্ষায় যা যা প্রয়োজন, সরকার তা করার চেষ্টা করবে। ওর স্কুলের শিক্ষকদের প্রতিও এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বার্তাবাজার/এএস