শেরপুর জেলার এক কিশোরকে গাজীপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর জেলা শহরের রাজদীঘির উত্তর পাড়ে এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে। নিহত নুরুল ইসলাম (১৪) শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাঘহাতা গ্রামের ফকির আলীর ছেলে। কিশোর নুরুল ইসলামের বাবা ফকির আলী গাজীপুর জেলা শহরের টাংকির পাড় এলাকার ফরিদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে। তিনি পাখি ধরে বিক্রি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে সে বাড়ির পাশে রাজদিঘীর পাড়ে যায়। এ সময় ৪/৫ জন কিশোর চাপাতি নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা তাকে চাপাতি দিয়ে তার পিঠে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নুরুল ইসলামের বাবা ফকির আলী জানান, তিনি পরিবার নিয়ে আগে শহরের সাহাপাড়ায় থাকতেন। মাত্র দুইদিন আগে ফরিদ মিয়ার বাসায় ভাড়া নিয়ে উঠেন। তার ২ মেয়ে এক ছেলের মধ্যে নূরুল ইসলাম বড় ছিল। নিহত কিশোর নুরুল ইসলাম ফেরি করে চা বিক্রি করতো। মাঝে মধ্যে টেম্পু বা বাসে হেলপারী করত। সকালে তিনি পাখি ধরতে চলে যাওয়ায় ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন না। জানা মতে তার ছেলের সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল না।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার এসআই লিয়াকত আলী জানান, কি কারণে কারা কিশোর নুরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। তবে কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্যে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
বার্তাবাজার/কে.জে.পি