মুসলিম সন্দেহে ঠাকুরকে হত্যা, অভিযুক্তরা বললো ‘ভুল হয়েছে’

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এক যুবক ঠাকুরকে মুসলিম সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় এক ঠাকুর ও তার ছেলেদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় পত্রিকা।

দেশটির গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, দিল্লির মৌজপুর অঞ্চলের পণ্ডিতদের জন্য নির্ধারিত রাস্তায় ২৩ বছরের এ যুবক সাহিল সিংকে হাঁটতে দেখে পণ্ডিতরা। তারা তাকে মুসলিম ভেবে বেধড়ক মারধর করে। ফলে পণ্ডিতদের গণপিটুনিতে মারা যায় সাহিল সিং।

সাহিল সিংয়ের মা সংগীতা সিং সাংবাদিকদের জানান, পণ্ডিতরা মুসলমান ভেবে আমার ছেলে হত্যা করেছে। সে আমাদের সংসার চালাত। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিল সে। কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার বাবা অসুস্থ, শয্যাশয়ী।

নিউজ পোর্টাল বাইন্ড হেডলাইন জানায়, ঠাকুর পণ্ডিতরা তাদের ব্যবহৃত রাস্তায় সাহিলকে হত্যার পর এভেবে খুশি হয়েছিল যে, তারা একজন মুসলিমকে হত্যা করতে পেরেছে। যখন তারা জানতে পারে যে, সাহিল সিং মুসলিম নয়, তাদেরই এক অসুস্থ ঠাকুরের ছেলে, তখন তারা হতভম্ব হয়ে যায়। আর বলে, ‘খুব বড় ভুল ঘটনা ঘটেছে’।

সাহিল সিং পরিবারের সঙ্গে দিল্লির মৌজপুরের ঠাকুর পণ্ডিতদের জন্য নির্ধারিত আদর্শ মহল্লা কৃষ্ণ গলীতে থাকতেন।

গত শুক্রবার রাতে বন্ধুর জন্মদিন থেকে ফিরছিল সে। বিজয় পার্কের ৫ নাম্বার রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মাতাল চন্দ্রভান নামক এক পণ্ডিত তার পথরোধ করে বলে এটা আমাদের চলাচলের রাস্তা। আর তখনই সে তাকে মারতে শুরু করে। পণ্ডিত চন্দ্রভানের ছেলেরাসহ অন্যান্য পণ্ডিত ও তাদের ছেলেরাও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

গণপিটুনির সময় সাহিল তাদের কাছে বাঁচার আকুতি করে। কিন্তু কেউ তার কথা শোনেনি। গণপিটুনির পর সাহিলের পরিবার খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পণ্ডিত চন্দ্রভান ও তার ছেলেদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর