নদী গর্ভে বিলীন সরকারি স্কুলসহ ৬৫ বাড়ি

পাবনার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের চরমধুপুর গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙনে একটি শহীদ মিনার ও সরকারি স্কুল সহ প্রায় ৬৫টি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর আগ্রাসনে দিশেহারা হয়ে শতাধিক পরিবার তাদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন কবলিত এলাকার গৃহহীন মানুষ গ্রাম রক্ষাসহ স্কুলটি পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পানি কমার সঙ্গে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। গত রোববার ভোর থেকে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের চরমধুপুর গ্রামে পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এক একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠা চরমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্কুল চত্বরে থাকা শহীদ মিনার সহ ৬৫টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। ঐ গ্রামের কৃষক মজির উদ্দিন বলেন, ‘সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি নদী ভাঙতেছে। চোখের সামনে স্কুলটা নদী গর্ভে চলে গেলো। একই গ্রামের আহমদ আলী বলেন, ‘স্কুলটা সকাল ৬টার দিকে ভেঙে চলে গেলো নদীর ভেতর। আমরা কোন রকম ভাবে ছেলে মেয়েদের নিয়ে স্কুলের আসবাবপত্র উদ্ধার করে রেখেছি, এখন সরকারের কাছে আবেদন আমাদের ছেলে মেয়েদের জন্য স্কুলটা আবার গড়ে দেওয়া লাগবি’।

তালেব আলী নামের এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, নদীর পানি কমতে থাকায় নদী রোববার সকালে চরম ভাবে হিট করেছে। আমাদের চরটা প্রায় শেষের দিকে। দুই হাজার মানুষের বসবাসস্থল এই চরবাসীর জীবন রক্ষার জন্য সরকারি সহযোগিতা চাই।

চরমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের স্কুলটা কালকে সকালে সবার চোখের সামনে ভেঙে গেল। আমরা কেউ ঠেকাতে পারলাম না’।

চরমধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার ভোরের আজানের পড় থেকে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। স্কুলটি সহ ৬৫টি বাড়ি ঘর চলে গেছে। এখনও ২০/২৫টি বাড়ি আজ সরিয়ে ফেলতে হবে। শতাধিক বাড়িঘর হুমকির মুখে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল করিম বলেন, এই চরবাসীরা খুব এগিয়ে গেছে। এখন যে সমস্যার মধ্যে আমরা পড়লাম, তাতে খুব দ্রুত স্কুলটি পুনরায় গড়ে তুলতে না পারলে ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ায় দুর্বল হয়ে পড়বে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর