রিফাত শরিফ হত্যা মামলায় বরগুনার সাংসদ পুত্র সুনাম দেবনাথকে আসামি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা। মঙ্গলবার দুপুরে আদালত থেকে ফেরার সময় আসামিরা সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রিফাত শরিফ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের নির্দশে গ্রেফতারের ৫০ দিন পর মঙ্গলবার বরগুনার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় মিন্নিকে।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার অন্য ১৪ আসামীকেও আদালতে হাজির করা হয় এদিন। আদালত চত্বর থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিরা সুনাম দেবনাথ কেন আসামী নয় এমন প্রশ্ন তোলেন তারা।
গ্রেপ্তার ৬ আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানীর তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
৫০ দিন কারাবাসের পর বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে মুক্তি পান আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। সেসময় জেল গেটে মিন্নির আইনজীবী মাহাবুবুল বারী আসলাম এবং মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরসহ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জামিন আদেশের কপি বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছানোর পর মিন্নির আইনজীবী মাহাবুবুল বারী আসলাম জামানতনামা দাখিল করেন। ৩টা ৪৮ মিনিটে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামানতনামায় স্বাক্ষরের পর ৩টা ৫৫ মিনিটে কারাগারে জামিনের আদেশের কপি পৌঁছে।
আদালতের নির্দেশ থাকায় মিন্নি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বললেও তার বাবা কথা বলেন।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মিন্নির মুক্তিতে তারা খুশি। মিন্নির জামিন ধরে রাখতে হলে অবশ্যই হাইকোর্টের শর্ত মানতে হবে।
বার্তাবাজার/কেএ