মোহাম্মদপুর থানার ২ পুলিশকে প্রত্যাহার

মামলার নামে নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থাকার দুই পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহারকৃত দুই পুলিশ সদস্য হলেন মোহাম্মদপুর থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাকারিয়া।

তথ্য মতে, মোহাম্মদপুর থানার শ্যামলীর রিং রোডে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ রয়েছে। গত ৩০ আগস্ট বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার শ্যামলী রিং রোডের বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গলিতে চেকিংয়ের সময় মো. কামালকে আটক করেন এএসআই জাকারিয়া। চেকিংয়ের সময় ভোটার আইডি দেখালে ওই কর্মকর্তা তাকে জানায়, তার নামে থানায় ২০০৯ সালের একটি মাদক মামলা রয়েছে।

এএসআই জাকারিয়ার মোবাইলে তাকে এ সংক্রান্ত মামলার আসামির বিরুদ্ধে কথিত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একটি ছবিও দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। থানায় যাচাই-বাছাইকালে পুলিশ সদস্যরা জানতে পারেন, যার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়া এই কামাল হোসেন না। তার নিজের নাম ও বাবার নাম মিল থাকলেও ওয়ারেন্ট ইস্যুকৃত ব্যক্তির মায়ের নাম, জন্ম সাল, এলাকার ঠিকানা ও পেশার কোনও মিল নেই।

শুধু তাই নয় নিরীহ কামালের নামে কোনও মামলাও নেই। এমনকি কোনও থানায় তার নামে জিডির ঘটনাও ঘটেনি। আসল আসামির সঙ্গে শুধু তার বাবার নামের মিল রয়েছে।

এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ওহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আসামি হিসেবে ভুল ব্যক্তিকে আটক এবং হয়রানির অভিযোগে থানা থেকে ২ পুলিশকে প্রত্যাহার করে পুলিশের ডিসি অফিসে ক্লোজড করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানা তিনি।

তদন্তের বিষয়ে এডিসি ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা চাওয়ার বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে নিরীহ মেকানিক কামাল হোসেনকে আটকের ক্ষেত্রে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি-না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর