কাউন্সিলের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করলো ছাত্রদল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি হিসাবে ৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ১৯ জন বৈধ প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এরআগে যাচাই-বাছাই কমিটি বৈধ সভাপতি হিসাবে ১৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা প্রার্থীতার ক্ষেত্রে শর্তাবলি পূরণ করতে পারেনি তারা পরবর্তীতে আপিল করেন, আপিলেও যারা বাদ পড়েছিলেন তারা রিভিউ’র জন্য আবেদন করেন। আপিল ও রিভিউ শেষে সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন প্রার্থীতা ফিরে পান। সোমবার ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া মঙ্গল-বুধবারের মধ্যেই ছাত্রদলের ১২ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে বলে জানা গেছে।

সভাপতি পদে বৈধ ৮ জন প্রার্থী হলেন- হাফিজুর রহমান, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, রিয়াদ মোঃ তানভীর রেজা রুবেল, মোঃ এরশাদ খান, মোঃ ফজলুর রহমান খোকন, এসএম সাজিদ হাসান বাবু, এবিএম মাহমুদ আলম সরদার ও কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। সাধারণ সম্পাদক পদে বৈধ ১৯ জন প্রার্থী হলেন- মোঃ আমিনুর রহমান আমিন, শাহনাওয়াজ, মোঃ তানজিল হাসান, মোঃ জাকিরুল ইসলাম জাকির, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, শেখ আবু তাহের, সাদিকুর রহমান, কেএম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মোঃ ইকবাল হোসেন শ্যামল, মোঃ জুয়েল হাওলাদার, মুন্সি আনিসুর রহমান, মোঃ মিজানুর রহমান শরিফ, শেখ মোঃ মশিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা, কাজী মাজহারুল ইসলাম।

তবে ছাত্রদলের কাউন্সিলে বৈধ সভাপতি প্রার্থী তালিকায় আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচিত কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নাম আসায় তৃণমূলে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই নেতার গ্রামের বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। তার বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলাম। যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মেঝো ছেলে কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। সেঝো ছেলে কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। আর রফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। কেশবপুরে কাজী পরিবারের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকলেও কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির হাইকমান্ড, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে ও এলাকায় এখন সর্বত্র এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য।

এদিকে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বিদ্রোহ করায় ১২ জন ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারাদেশ শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে বলে জানা গেছে। মঙ্গল ও বুধবারের মধ্যেই তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ জাতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পুনরায় তফসিল মোতাবেক- ভোট গ্রহণ করা হবে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত।

 

বার্তা বাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর