ছ’ বলের জায়গায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন সাত বল করায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কিংস ইলেভেন ম্যাচের শুরুতেই ছড়ায় বিভ্রান্তি। উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া।পরে অবশ্য জানা যায় সাত বল নয় ছ’ বলই করেন কিংস অধিনায়ক।
শনিবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অশ্বিন। প্রথম ওভার বল করতে আসেন তিনি। সাতটি বল করেন তিনি। অশ্বিনের সপ্তম বলটি কুইন্টন ডি কক পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারিতে। ছ’ বল হয়ে গেলেও আম্পায়ার কেন ওভার দিলেন না? তিনি কি ভুল করলেন? পরে অবশ্য জানা যায়, অশ্বিনের করা প্রথম বলটি ছিল ‘ডেড বল’। প্রথম বলটির জন্য তৈরিই ছিলেন না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রোহিত শর্মা। তাই সেই বলটিকে ডেড বল ঘোষণা করা হয়।
এদিন শেষ হাসি অবশ্য হাসে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবই। আট বল বাকি থাকতে আট উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কিংস শিবির। মুম্বই প্রথমে ব্যাট করে তোলে সাত উইকেটে ১৭৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পঞ্জাব। লোকেশ রাহুল ৭১ রানে অপরাজিত থেকে যান। ক্রিস গেইল করেন ৪০।
এবারের আইপিএলে শুরু থেকেই বিতর্ক হচ্ছে। রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলারকে রান আউট করে সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন অশ্বিন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার ‘নো বল’ এড়িয়ে গিয়েছিল আম্পায়ারের চোখ। ম্যাচ হারতে হয়েছিল আরসিবিকে। ক্ষিপ্ত বিরাট কোহালি আম্পায়ারিংয়ের মান বাড়ানোর সওয়াল করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘এটা কি আইপিএল নাকি ক্লাব স্তরের ক্রিকেট? আম্পায়ারের চোখ খোলা রাখা উচিত ছিল। শেষ বলে যা হল তা হাস্যকর।’’
শনিবার মোহালিতে অবশ্য অশ্বিন নতুন কোনও বিতর্কে জড়াননি। প্রথম বলটি ‘ডেড বল’ হওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। পরে কারণ প্রকাশ্যে আসায় কেটে যায় যাবতীয় বিভ্রান্তি।