ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে

যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রার্থী। ছাত্রদলের কাউন্সিলে বৈধ সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যে ১৫ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে নাম রয়েছে শ্রাবণের। এ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

তবে পরিবারের দাবি শ্রাবন বিএনপি করায় ১৫ বছর ধরে তার সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মেঝ ছেলে কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। সেঝো ছেলে কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।

কেশবপুরে কাজী পরিবারের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় এখন সর্বত্র এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে।

কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রাবণ ছাত্রদলের নেতা হওয়ায় আমার বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা পাঁচ ভাই ও এক বোন। সবার ছোট শ্রাবণ। মেধাবী ছাত্র। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত। রাজনীতির কারণে ১৫ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এলাকায় এসেছিল ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে। কিন্তু বাড়িতেও আসেনি।

এ বিষয়ে কেশবপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মুখোশের আড়ালে নিজেকে বেশিক্ষণ লুকানো যায় না। কাজী রফিকুল ইসলাম দলের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তার সঙ্গে শ্রাবণ ও ছিল। জামায়াত ও বিএনপি সরাসরি শ্রাবণের নেতৃত্বে তার বাবার ভোট করেছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা দেখবেন।’

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর