মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা : ৬ দিনেই আবেদন ৫৮ সহস্রাধিক

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তিযুদ্ধের জন্য আবেদন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয়ভাবে সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ধারণা করছে, গত বছরের চেয়ে বেশি সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান ১০ নম্বর থাকবে। গত ২৭ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গত ছয় দিনে (আজ বেলা ১১ টা পর্যন্ত) অনলাইনে ৫৮ হাজার ৫১৮ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আবেদনপত্র জমা পড়েছে। গত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার ৯১৯।

ঢাকার চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৯ হাজার ৯৯৯, মুগদা মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার, সোহরাওয়ার্দীতে ৮ হাজার ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ৬ হাজারের নির্ধারিত কোটার শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। এ চারটিতেই নির্ধারিত কোটায় আবেদন শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নির্ধারিত ৮ হাজারের কোটা পূরণ হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮টি। তন্মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৬টি সাধারণ আসন, ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও ২০টি উপজাতি কোটা। এছাড়া বেসরকারি ৬৯টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২৩১। এছাড়া সার্ক ও নন সার্কভুক্ত দেশসমূহের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৩টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করেছে। সেই হিসেবে চলতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে অধিদপ্তর।
১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা নির্দেশ রয়েছে। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোচিং সেন্টারগুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর