আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বাঁধের অবস্থা নাজুক

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের দয়ারঘাট ও জেলেখালী বেড়ী বাঁর্ধে অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছে। যেকোন মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাঁধের অবস্থা দেখতে রবিবার সকালে এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

খোলপেটুয়া নদীর প্রচন্ড পানির শ্রোত ও চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২নং পোল্ডারের জেলেখালী ও দয়ারঘাট এলাকার বাঁধটি দীর্ঘকাল যাবৎ খুবই জরাজীর্ণ হয়ে আছে। প্রতি বছর একাধিক বার বাঁধটিতে ফাটল দেখা দিলেই কোন মতে দায়সারা ভাবে বাঁধটি টিকিয়ে রাখা হয়।

বর্তমানে বাঁধটির পুরা এলাকা এতটা ছোট হয়ে ভাঙ্গন কবলিত হয়ে পড়েছে যে, বাঁধের পরিস্থিতি খুবই হুমকী পূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁধের একাধিক স্থান থেকে পানি ছাপিয়ে ও চুইয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে বেড়ী বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ফাটলও দেখা দিয়েছে। এলাকার সাধারণ জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মাটি দিয়ে ভাঙ্গণ রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নাজুক অবস্থায় পতিত হওয়া এ বাঁধটি কতক্ষন টিকে থাকবে তা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি বিরাজ করছে।

এব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন বলেন, আমরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বেড়ীবাঁধটি টিকিয়ে রাখতে বাঁধের উপরে ও পাশে মাটি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তবে স্থায়ী নির্মান কাজ করা না হলে সমস্যার সমাধান কোন ভাবেই সম্ভব নয় বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।

সাতক্ষীরা পাউবো’র (বিভাগ-২) নির্বাহী পরিচালক আরিফুজ্জামান খান বলেন, আমাদের হাতে এ মুহুর্তে কোন বাজেট নেই। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

টেইসই বেড়ীবাঁধ নির্মান করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাইকার মাধ্যমে আমরা টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মানের প্রচেষ্টায় আছি। তবে কবে নাগাদ টেকসই বাঁধ নির্মান হবে তা তিনি জানাতে পারেননি।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর