৩৭০ ধারা তুলে নিলে কাশ্মির ভারত আলাদা হবে: মেহবুবা মুফতি

কেন্দ্রীয় সরকার যদি ৩৭০ ধারা তুলে নেয় তাহলে কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শেষ হবে বলে হুমকি দিলেন পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতি।

শনিবার কেন্দ্রকে হুমকি দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি আপনারা ব্রিজ ভেঙে দেন (৩৭০ ধারা) তাহলে ভারত ও জম্মু-কাশ্মীরের সম্পর্ক নিয়ে ফের পর্যালোচনা করতে হবে। নতুন কোনও শর্ত তৈরি করতে হবে। না হলে একটা মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য কেন আপনাদের সঙ্গে থাকবে? যদি আপনারা ৩৭০ ধারা তুলে নেন তাহলে জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে আপনাদের আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না।”

২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারা তুলে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। বিষয়টি কেন্দ্র করে বারেবারে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভূ-স্বর্গের পরিস্থিতি। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও ৩৫(এ) ধারা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রকে করা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “আগুন নিয়ে খেলবেন না।

সংবিধানের ৩৫-এ ধারা নিয়ে খেলতে এলে ১৯৪৭ সালের পর থেকে উপত্যকায় যা হয়নি তাই হবে। সীমান্তে ভারতের পতাকা হাতে তোলার মত লোক পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে কাশ্মীরের মানুষদের অন্যদেশের পতাকা হাতে তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হবে। যা ভারতের মানুষের জন্য মোটেই খুব একটা ভাল হবে না।”

তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সাংবিধানিক যোগসূত্রের মাধ্যমই হল সংবিধানের ৩৫(এ) ধারা। আর এই ৩৫(এ) ধারাটি ৩৭০ ধারার সঙ্গে যুক্ত। এই দুই ধারার অধীনে কাশ্মীরের মানুষরা ১৯৫৪ সালের পর থেকেই বিশেষ সুবিধা পেয়ে আসছে।

সংবিধানের ৩৭০ পর ৩৫(এ) ধারা উপত্যকার মানুষদের জমির অধিকার, শিক্ষার সুযোগ এবং সরকারি চাকরি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। ১৯৫৪ সালে ভারতের তত্‍কালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশেই ৩৫(এ) ধারাকে সংবিধানের অন্তর্গত করা হয়েছিল।

ইতিমধ্যে এই ৩৫(এ) ধারাটিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতে বলা হয়েছে, সংবিধানে কোনও নতুন ধারা সংযোজন করা হলে প্রথমেই লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে তা কার্যকরী করা হয়।

কিন্তু, ১৯৫৪ সালে সংবিধানে এই ধারাটি যুক্ত করার ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি। এখন আদালত যদি ৩৫(এ) ধারাটি অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় তাহলে ৩৭০ ধারাও অসাংবিধানিক বলে গণ্য হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর