অবশেষে মাথা গোজার ঠাঁই হলো অসহায় বৃদ্ধা রং মালা’র

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ধনাকুশা এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় বৃদ্ধা রং মালা’র অবশেষে মাথা গোজার ঠাই হলো। ৪ ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে খেয়ে-না খেয়ে তাঁর দিন কাটতো। তাঁর ছিলনা কোন ঘর ও জীবন চালানোর মতো কৃষি জমি।

এমতাবস্থায় “জমি আছে ঘর নেই” আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তাকে টিনসেড একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদারের একান্ত প্রচেষ্টা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় অবশেষে জায়গা ও ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় বৃদ্ধা রং মালা’র যৎ সামান্ন্য জমা-জমি থাকলেও আত্মীয় স্বজনরা রং মালার প্রাপ্য জমি থেকে তাকে বঞ্চিত করে রেখে ছিল। পরে সে সন্তানদের নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করে আসছিল।

এদিকে রং মালা’র এমন করুন অবস্থার দৃষ্টি পড়ে নকলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদারের। পরে তিনি অসহায় বৃদ্ধা রং মালা’র প্রাপ্য জমি উদ্ধার এবং সেই সাথে “জমি আছে ঘর নেই” আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তাকে টিনসেড একটি সরকারি ঘর বরাদ্দর ব্যবস্থা করে দেন।

এমন মহতি উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদারের পাশাপাশি সহযোগিতা করেন, নকলা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন, সাবকে ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা করিম মিয়া, সাবেক সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা চানু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এদিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদারের প্রচেষ্টায় ওয়ারিশ জমি পেয়ে মায়ের জন্মস্থানেই মিললো সেই স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় রং মালা’র আশ্রয়স্থল। আর এ জায়গা পেয়ে রং মালা খুব খুশি হয়েছেন, খুশি এলাকাবাসীরাও।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর