রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা, ইয়াবা গডফাদার ও রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ অবশেষে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাকে নিয়ে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোড়া ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।তিনি টেকনাফ উপজেলায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিও।

নিহত নুর মোহাম্মদ টেকনাফের জাদিমুরা শরণার্থী শিবিরের কালা মিয়ার ছেলে। তার কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) পাওয়া গেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানান, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি ও শীর্ষস্থানীয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ লোকজন নিয়ে টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড়ের ধারে অবস্থান করছে– এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।

তিনি জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোহিঙ্গা নুর মোহাম্মদকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে ওসি বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য– থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬) এবং কনস্টেবল আশেদুল (২১) ও অন্তর চৌধুরী (২১)।

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা ও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর চন্দ্র দেব নাথ বলেন, পুলিশ রোববার সকালে গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার বুকে ও পেটে ৬টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বার্তবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর