জাতির জনককে স্মরন করে ১০লক্ষ চারা বিতরন সম্পন্ন

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আগস্ট মাসে ১০ লক্ষ গাছের চারা বিতরন করা হয়। এ জেলার সমগ্র স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে দুটি করে গাছের চারা তুলে দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন স্থানীয় ভাবে তহবিল সংগ্রহ করে এসব গাছ সংগ্রহ ও বিতরন করে। উদ্যোক্তারা মনে করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্মরনে রোপন করা এসব বৃক্ষ উপকূলীয় এলাকার জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায়ও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে ।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শোকের মাসে ১০ লাখ গাছের চারা বিতরনের উদ্যোগ নেয়। সকল প্রস্তুতি ও তহবিল সংগ্রহ করে জেলার সোয়া চার লাখ শিক্ষার্থীর হাতে দুটি করে গাছের চারা বিতরন করা হয়। এর মধ্যে ছিলো আম, জাম, পেয়ারা, লেবু, কাঠাল, লিচু, নিম, রেইনট্রি, মেহগনি, চাম্বুল সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ পটুয়াখালীর সেচ্ছাসেবকরা এই বৃক্ষ রোপন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগীতা করে।

পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপ সচিব) মোঃ হেমায়েত উদ্দিন বলেন, সরকারী ভাবে কোনও বরাদ্দ না থাকলেও স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ১০ লক্ষ গাছের চারা সংগ্রহ ও বিতরনে জেলা প্রশাসনের এক কোটি পচিশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

জেলার সকল মানুষের আন্তরিক সহযোগীতার কারনেই এই বিপুল পরিমান গাছের চারা সঠিক ভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিতরন করা সম্ভব হয়েছে।বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্যোক্তা পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এই দশ লক্ষ গাছের চারা বিতরনের মাধ্যমে জাতির জনকের চেতনাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হলো।

যখন এসব গাছ বড় হবে তখন তারা বলবে এটি জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রোপন করা হয়েছে। যখন গাছে ফল দিবে তখন তারা বলবে এটি জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রোপন করা হয়েছে । এমনকি যখন গাছটি কাটা হবে তখনও তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরন করবে।

এভাবে এসব গাছের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতার আদর্শ ও চেতানা ছড়িয়ে পরবে। এমন চিন্তা থেকেই এই কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।’ পাশপাশি এই দশ লক্ষ গাছের চারা উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।

এদিকে শিক্ষার্থীরা সরবরাহ করা গাছের চারা গুলো নিজ নিজ বাড়িতে রোপন ও নিয়মিত পরিচর্জার বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং এর জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার যুব সেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বেশক য়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম নিময়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

এই বৃক্ষ রোপন কর্মসুচীর আজ শেষ দিন হিসেবে পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং পায়রা তাপবিদুৎ কেন্দ্র এলাকায় বৃক্ষরোপন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী। উক্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মুনিবুর রহমান, আরপিসিএল নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল করিম।

বার্তাবাজার/এম.কে