আসাম ইস্যু: ‘এখন আমার কী হবে’

শনিবার (৩১ আগস্ট) ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা বা এনআরসিতে নাম না দেখে আতঙ্কে আর অনিশ্চয়তায় মুষড়ে পড়েছেন গৌহাটির গৃহবধূ জমিরন পারভিন।

কিছুক্ষণ পরপরই চোখ মুছছেন জমিরন পারভিন। স্বামী আজম আলী মৃধা এবং শ্বশুর বাড়ির অন্যান্যরা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় আট-নয় বছরের একমাত্র ছেলে বাচ্চাটি উদ্বিগ্ন হয়ে মাকে দেখছে।

স্বামী-সন্তান এবং শ্বশুর বাড়ির সবারই চূড়ান্ত তালিকায় নাম রয়েছে। বাবার পরিবারের সবাই তালিকায় রয়েছেন। বাদ পড়েছেন একমাত্র তিনি।

জমিরন বলেন, ‘খসড়া তালিকায় নাম না ওঠার পর সব সমস্ত কাগজ-পত্র দিয়ে আপিল করেছিলাম। কিন্তু তারপরও নাম নেই। জানিনা এখন আমার কি হবে।’

জমিরনের জন্ম আসামের বড়পেটায়। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্রে জমিরনের বাবার নামের বানান ভুল লেখা হয়েছিল বলেই এই পরিণতি। তার বাবার নাম আতব আলী, কিন্তু পরীক্ষার প্রবেশপত্রে নাম লেখা হয় আতাবর আলী।

আর এই দুই অক্ষরের ভুলেই চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছেন এই নারীর।

পারভিনকে সান্তনা দিচ্ছেন তার স্বামী।মাঝখানে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে একমাত্র সন্তান।

জমিরনের স্বামী জানালেন, তারা ট্রাইবুনালের আপিল করবেন।

জমিরন পারভিন সহ আসামের ১৯ লাখেরও বেশী মানুষের নাম চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে।

এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে এই ১৯ লাখ বাংলাভাষী মানুষের, যাদের সিংহভাগই মুসলমান, এখন কী হবে?

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর