দিনাজপুরের বিরলে ঘোড়া জবাই করে মাংস বিক্রি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও কাঠ ব্যবসায়ী কাইয়ুম আলীকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও রায়হান আলীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে ঘোড়ার মাংস কিনে খাওয়ার পর শুক্রবার বিকেলে গা-ঢাকা দেয় এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষ।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, বিরলের কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও কাঠ ব্যবসায়ী কাইয়ুম আলী শুক্রবার সকালে কাজীপাড়া এলাকায় একটি ঘোড়া জবাই করে।
এসময় তারা ২শ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে। দুপুরের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় ঘোড়ার প্রায় দেড় মণ মাংস। এই মাংস নিয়ে অনেকেই পরিবার পরিজনে দুপুরে খায় বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে স্থানীয় কাজীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি লোকমান হাকিম বিরল থানায় অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও কাইয়ুম আলী পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে কাইয়ুম আলীর ছোটভাই রায়হান আলীকে ২ কেজি ঘোড়ার মাংসসহ আটক করে নিয়ে আসে। পরে বিরলের কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও কাঠ ব্যবসায়ী কাইয়ুম আলীকেও আটক করা হয়।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল মুঠোফেনো বলেন, ‘ভাই জীবনে বহু জায়গায় চাকরি করেছি। কিন্তু ঘোড়া জবাই করে মাংস বিক্রির ঘটনাটি আমার দেখা বাকি ছিলো। বিরলের মতো জায়গায় চাকরি করতে এসে এই বিরল ঘটনাটিও আমাকে দেখতে হলো।’
ঘোড়া জবাই ও ঘোড়ার মাংস বিক্রি আইনসম্মত নয় উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘এ নিয়ে এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় গিয়ে রায়হান আলী নামে একজনকে ২ কেজি ঘোড়ার মাংসসহ আটক করা হয়।’
বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম রওশন কবীর জানান, ঘোড়া জবাই করা আইনে নিষেধ আছে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বার্তা বাজার/এস.আর