স্কুলছাত্রকে কোপানোর পর চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা

রংপুরে স্কুলছাত্রকে কোপানোর পর চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে নগরীর টেক্সটাইল মোড় থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ভোর চারটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

বড় ভাই মোহন ৫শ’ টাকা ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা ছোট ভাই ১১ বছরের রশিদকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজন এবং স্থানীয়রা।
গুরুতর জখমের পরও একটু বাঁচার আশায় দৌড়ে ফুপুর কোলে যায় ১১ বছরের রশিদ।

তারপরও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেলো না সে। ফুপুর কোল থেকে ছিনিয়ে চলন্ত গাড়ির নিচে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করা হয় রশিদকে। স্বজনরা জানান, শহরের সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া এলাকার অটোরিকশা চালক মোহনের ৫শ’ টাকা ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করায় তার বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে মারধর করে এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্যরা।

এ নিয়ে সালিশ বসেছিলো টেক্সটাইল মোড়ের একটি স’মিলে। বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক চলাকালে বড় ভাই মোহনের সঙ্গে আসা তারই ছোটভাই ১১ বছরের রশিদের ওপরও চড়াও হয় অভিযুক্ত মোজাফফর ও তার লোকজন।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকলে বাঁচার আশায় ফুফু নাজমা বেগমের কোলে আশ্রয় নেয় রশিদ। সেখান থেকে ছিনিয়ে নিয়ে রশিদকে আরকে রোডে চলন্ত একটি বাসের নিচে ফেলে হত্যা করে তারা।

স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রশিদের এই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছে স্বজন, এলাকাবাসী। এ ঘটনায় রশিদের বাবা দরিদ্র দিনমজুর শহিদার রহমান শুক্রবার কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন রংপুর কোতেয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশীদ।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর