পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে বুধবার গভীর রাতে বালুরমাঠে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের শাহ- আলম চৌকিদারের ছেলে অভিযুক্ত রাকিবুল (২০) ও তার দুই সহযোগী কোমরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর চৌকিদারের ছেলে বাবু (২২) ও জয়নাল ফকিরের ছেলে ওবায়দুল (২৪)কে আসামী করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ধর্ষিতাকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
ধর্ষকসহ অপর আসামীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।মামলার বিবরন ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর (১৩) দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে ফোনে কথা বলতো কোমরপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাকিবুল।
গত বুধবার রাত দুইটার দিকে রাকিবুল কিশোরীর দাদীর ফোনে কল দিয়ে কিশোরীকে ঘরের বাইরে বের হতে বলে। কিশোরী সবার অগোচরে ঘরের বাইরে বের হলে কিশোরীর গলায় ছুরি ধরে রাকিবুল তার দুই সহযোগীর সহায়তায় পাশ্ববর্তী বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
কিশোরীর পিতার অভিযোগ, প্রায় দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মেয়ে দাদীর কাছেই থাকতো। ঘটনার রাতে কিশোরীকে না পেয়ে তার মা তাকে জানালে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি করেন।
পরদিন ( বৃহস্পতিবার) সকালে মেয়েকে না পাওয়ার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। ওইদিন বেলা ১২টার দিকে ধর্ষকরা মেয়েকে কুয়াকাটা থেকে একটি অটোতে উঠিয়ে দিলে মেয়ে বাসায় এসে এ ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানান।
এ ঘটনার সাথে জড়িত রাকিবুল বৃহস্পতিবার দুপুরেই নিজ দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। একই সাথে পলাতক রয়েছে তার অপর দুই সহযোগী।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, কিশোরীর বাবা রাতে থানায় অভিযোগ দাখিলের পরই আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
বার্তাবাজার/এম.কে